শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


ইসলামের দৃষ্টিতে একজন ভোটপ্রার্থী কেমন হওয়া চাই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ আফফান: একজন আদর্শ প্রার্থীর জন্য কিছু গুনাবলী অপরিহার্য । যা প্রার্থীকে নেতৃত্ব দিতে সাহায্য করবে। এবং তার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সুফল পাবে।  দেশে সুখ ও আনন্দের জোয়ার বইবে। এমন কিছু গুনাবলীর তালিকা দেয়া হলো

১. প্রার্থীর মধ্যে নেতৃত্বের মােহ থাকতে পারবে না। সে কাজ করবে দেশ ও জাতির স্বার্থে, ব্যক্তি স্বার্থে নয়। নেতৃত্বের প্রতি মােহ থাকলে মানুষ ব্যক্তি স্বার্থ ত্যাগ করে বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষার তাগিদে কাজ করতে পারে না।

২. প্রার্থীর মধ্যে বিনয় থাকতে হবে। কথা-বার্তা, আচার-আচরণে বিনয় না থাকলে বরং অহংকার থাকলে সেরূপ নেতাকে কেউ মনে প্রাণে গ্রহণ
করতে চায় না।

৩, সমস্যা ও সংকটের মুহূর্তে প্রার্থীর অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে,
যাতে দলীয় সদস্যরা নেতাকে স্বার্থপর বা ভীরু ভাবতে না পারে কিংবা | নিজেদেরকে যেন তারা অসহায় না ভাবে।

৪,' অনুসারী ও দলীয় সদস্যদের প্রতি সহানুভূতি থাকতে হবে এবং তাদের | সুবিধা-অসুবিধা ও আশা-আকাংখার খোঁজ-খবর রাখতে হবে।

৫. ভালবাসা দিতে ও ভালবাসা নিতে পারার গুণ থাকতে হবে। এরূপ হলে
প্রার্থীর উপস্থিতি কর্মী ও দলীয় সদস্যদের কাছে কাম্য হবে এবং নেতা | কর্মীদের মন জয় করতে পারবেন।

৬. প্রার্থীর মধ্যে বুদ্ধিমত্তা এবং সমস্যা ও তার সমাধান সম্বন্ধে পরিজ্ঞান
থাকতে হবে, যাতে তিনি পরিবেশ, পরিস্থিতি ও সমস্যার নানা দিক বিশ্লেষণ পূর্বক যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

৭. প্রার্থীর আদর্শস্থানীয় হতে হবে, যাতে তার স্বভাব-চরিত্র ও নীতি
নৈতিকতা দেখে তার প্রতি শ্রদ্ধাবোেধ জাগ্রত হয় এবং অনুসারীরা আদর্শচ্যুত হওয়ার দুঃসাহস না পায়। কেননা এরূপ নেতার নিকট আদর্শহীনতা প্রশ্রয়
পাবে না ।

৮, প্রার্থীর চরমপন্থী হবেন না, নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেয়ার জন্য গো ধরবেন না বরং প্রয়ােজনের তাগিদে মূল আদর্শ বহাল রেখে নীতি নির্ধারণ ও পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে আপােষের মনােভাব নিয়ে চলবেন।

সূত্র: আহাকামে জিন্দেগী অবলম্বনে

‘দেশ ও ইসলামের পক্ষে কথা বলতে জাতীয় সংসদে যেতে চাই’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ