আবিদ আনজুম
১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠে তাবলিগের সাথী ও উলামায়ে কেরামের ওপর হামলার পর আজ ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ সময় তার সঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ থাকবেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২ টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করবেন।
এ সময় তিনি মাঠ ঘুরে ঘুরে সাদপন্থীদের নৃশংস হামলার চিত্র দেখার পাশাপাশি বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের প্রস্তুতি কাজ পরিদর্শন করবেন।
স্বাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মাঠ পরিদর্শনে উপস্থিত থাকবেন, তাবলিগের আলেম উপদেষ্টা মজলিসে দাওয়াতুল হকের আমির আল্লামা মাহমূদুল হাসান, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, তাবলীগের শুরা প্রধান মাওলানা জোবায়ের আহমদ ও আম্বরশাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাজহারুল ইসলাম।
এছাড়াও তাবলিগের কয়েকজন মুরব্বি, আলেমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার ইজতেমা মাঠের মসজিদ ও মাদরসার দায়িত্ব তাবলিগ ও উলামাদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জুমার নামাজসহ নিয়মিত আলমও ফিরছে সেখানে।
গত ১ ডিসেম্বর ইজতেমা মাঠ প্রস্তুতের জন্য মাঠে অবস্থান করা তাবলীগের সাথী ও উলামায়ে কেরামসহ মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ওপর সাদপন্থীরা নৃশংস হামলার চালায়। সকাল ১১ টায় ইজতেমা মাঠের গেট ভেঙে প্রবেশ করে তারা লাঠি, রড ও দা নিয়ে হামলে পড়ে মাঠে ইবাদতরত মুসল্লি ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপর।
এতে মৃত্যুবরণ করে তাবলীগের পুরনো সাথী ইসমাইল মন্ডল। সহস্রাধিক মাদরাসা শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। সেদিনের আহতদের অবস্থার বিবরণ দিয়ে টঙ্গী হাসপাতালের ডাক্তার বলেন, এত রক্তাক্ত জখমি রোগী আগে কখনো টঙ্গীতে আসেনি।
হামলার দিন বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আলেম ও তাবলীগের মুরব্বিদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ইজতেমা মাঠ প্রশাসনের হাতে থাকবে এবং নির্বাচনের আগে কোনো অনুষ্ঠান হবে না।
মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আমির দাবি ও বিতর্কিত বক্তব্যের পর তাবলিগ জামাতে ফাটল সৃষ্টি হয়। এসব সংশোধনের চেষ্টা করেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দসহ বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম।
কিন্তু এসব ভুল থেকে এখন পর্যন্ত পরিস্কারভাবে ফিরে না এসে নিজের অবস্থানে অটুট আছেন।
এ দিকে উলামায়ে কেরাম ও তাবলীগের বাংলাদেশের মুরব্বিগণ ঘোষণা দিয়েছেন, মাওলানা সাদ তার ভুল থেকে ফিরে আসলে সবাই তাকে মানবেন। কিন্তু এসব ভ্রুক্ষেপ না করে নিজের অবস্থান অটুট রাখায় তাবলীগ জামাতে চলমান এ সঙ্কট।
চলমান এ পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মাওলানা সাদ কান্ধলভী তার ভুল থেকে ফিরে না এলে তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না এবং তার মতও প্রচার করতে দেয়া যাবে না। বাংলাদেশের তাবলীগের মারকাজ কাকরাইল সে অনুযায়ী নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরআর