শাব্বির আহমদ: ‘শয়তানগুলো আমার সন্তানদেরও রক্তাক্ত করেছে। আল্লাহ ওদের বিচার করবেন।’ উক্তিটি মিরপুর ১২ এর তাবলীগের সাথী আহত মুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেনের।
নিজের ক্ষতের দিকে বিন্দুমাত্র খেয়াল নেই তার। বারবার বলে চলেছেন, ৭১ এ দেশের জন্য যৌবনকে উৎসর্গ করেছিলাম। আর এখন ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গ করলাম। আল্লাহ আমার রক্ত কবুল করেছেন কিন্তু শাহাদাত নসিব হলো না।
গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে বিতর্কিত মাওলানা সাদপন্থীদের হাতে হতাহতদের মধ্যে রয়েছেন একাত্তরের এ সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা। তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে দুই ভাগ হয়ে গেছে। সেই সাথে মারাত্মকভাবে মাথায়ও আঘাত পেয়েছেন।
মুুক্তিযোদ্ধা বেলায়েত হোসেন বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ডিসি ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জোড় ও বিশ্ব ইজতেমার জন্য মাঠ প্রস্তুত করতে প্রতি বছরের মতো এবারও গিয়েছিলেন তিনি। তবে তাকে ফিরতে হয়েছে রক্তাক্ত অবস্থায়।
বৃহস্পতিবার একদল আলেম তাকে হাসপাতালে দেখতে গেলে তিনি বারবার বলে চলছিলেন, আপনারা ফেরেস্তাতুল্য, জান্নাতে যাওয়ার সময় আমার কথা ভুলবেন না। এ সময় সাথে রাখা নিজের মুক্তিযুদ্ধের সনদ দেখিয়ে আফসোস করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মাওলানা সাদপন্থীরা তাবলীগ জামাত অর্থাৎ আলমি শুরার বিরুদ্ধাচারণ করতে গিয়ে বারবারই বলে থাকেন তারা পাকিস্তানপন্থী। কিন্তু ১ ডিসেম্বর তারা মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলা করে বুঝিয়ে দিল আদতে তারাই দেশ ও ইমানদার মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাহীন।
‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা করছে সাদপন্থীরা’
আরআর
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                           
                        
                                                 
                      
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                        