ইসমাঈল আযহার ।।
আর দুয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশ হবে নির্বাচনের ইশতেহার। যা দেখে ভোটাররা জানতে পারবেন তাদের পছন্দের দল বা প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির কথা। আসন্ন নির্বাচনে কেমন ইশতিহার চান ইসলামি ছাত্র দলগুলো। এ নিয়ে কথা হয়ে তিন ইসলামি ছাত্রনেতার সঙ্গে।
সব ধারার শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে
সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কওমি মাদরাসার আবাসন সংকট নিরসনে ভবন নির্মাণ ও সার্বিক বিষয় ভাবতে হবে সরকারকে। শিক্ষার্থীদের বিদেশে পড়তে যাওয়ার ব্যবস্থা করা, প্রতি জেলায় কারিগরি উচ্চবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সংকট নিরসনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে মেধার গুরুত্ব দেয়ার কথা ইশতেহারে দেখতে চান ইসলামি শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলেন সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ।
এছাড়া ছেলেদের উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার ব্যয়ভার রাষ্ট্রের গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতির কথাও বলেন তিনি।
তিনি জানান, ইশতেহারে কেবল শিক্ষার্থীদের এজেন্ডা নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। দেশের নীতিগত কিছু বিষয়ে সংস্কারের ঘোষণা চাই। ক্ষমতার ভারসম্য, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশোধন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের সংশোধন, PR পদ্ধতির নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বাজার যাচাই করে বাজারের চাহিদামত উচ্চ শিক্ষার পাঠ্যসূচি নির্ধারণ করতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি মেয়েদের শিক্ষার সমস্ত ব্যয়ভারও রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
কওমি মাদরাসার অগ্রগতির কথা অবশ্যই ভাবতে হবে
ছাত্র মজলিসের সভাপতি ইলিয়াস আহমদ বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন পড়ালেখা সংক্রান্ত সুযোগ সুবিধা বেশি পায়। এতে কোনো ধরনের যেন বৈষম্য না থাকে।
ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভাল ভাল বিদ্যালয়গুলোতে মাদরাসা পড়ুয়া বা ইসলামি ভাবধারার ছাত্ররা বৈষম্যের শিকার হতে হয়, এ সমস্যাগুলোর দূরিভূত করার প্রতিশ্রুতি ইশহারে থাকতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রেও অনেক বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। চাকরি সংক্রান্ত বৈষম্যর সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে সমাজে ধর্ময় স্বাধীনতা যেন বজায় থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আইন বাস্তবায়ন না করার ঘোষণা এবং সে অনুযায়ী আমল করতে হবে।
দেশে ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব আইন আছে সেসবও বাতিলের ঘোষণা আমরা ইশতেহারে দেখতে চাই। কওমি মাদরসার উগ্রগতি ও উন্নতির প্রতিশ্রুতি অবশ্যই থাকতে হবে ইশতেহারে বলেও তিনি জানান।
সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে
ছাত্র জমিয়তের সভাপতি তোফায়েল গাজালী বলেন, বাংলাদেশে অনেক ধর্মের মানুষ বাস করেন। প্রচুর দল ও বিভিন্ন মতের মানুষ রয়েছে এ দেশে। সব ধর্ম, দল, মত ও পথের মানুষের বসবাসের নিশ্চয়তা থাকতে হবে ইশতেহারে।
এ দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ মুসলমান। তাই আমরা চাই দেশের আইন আদালত ইসলামের অনুকূলে হতে হবে। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, মদিনার সনদের আলোকে রাষ্ট্রীয় আইনের পূনর্বিন্যাস আমরা ইশতিহারে দেখতে চাই।
তিনি বলেন, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও ইশহারে থাকতে হবে।
আল হাইআতুল উলয়াকে মাস্টার্সের মান দেওয়া হয়েছে। নিচের অন্য শ্রেণিগুলোকেও সম্বয় করে স্বীকৃতির ঘোষণা থাকতে পারে এবারের ইশতেহারে। তাহলে আমাদের শিক্ষার যথাযথ মূল্যায়ণ করা হবে।
ইসলামী অান্দোলনকে ‘তারুণ্যের ইশতেহার’ জানালো কোটা অান্দোলনের নেতারা
আরআর