সুফিয়ান ফারাবী: গত ১ ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দানে সাদ অনুসারীদের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের সাথীরা। ইজতেমায় মাওলানা সাদপন্থীদের আক্রমণকে “সন্ত্রাস” হিসেবে উল্লেখ করেছেন সারাদেশের আলেম সমাজ ও সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক বরারব স্মারকলিপিও দিয়েছেন উলামায়ে কেরাম।
ইজতেমা মাঠে মাওলানা সাদ অনুসারীদের নৃশংস হামলায় ৩ শতাধিক আহত হয়। এছাড়াও নিহত হন ইসমাইল মন্ডন নামের এক তাবলীগের সাথী। তাবলিগের ইতিহাসে এমন ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক বলে উল্লেখ করেছেন উলামায়ে কেরাম।
ঢাকা
টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে বিশ্বইজতেমার প্রস্তুতিকাজে অংশগ্রহণকারী নিরীহ মাদরাসা ছাত্র ও তাবলীগের সাথীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, কদমতলি, শ্যামপুর বেফাকজোনের উলামায়ে কেরাম এবং তাবলীগ জামাত এর সাথী ভাইদের পক্ষ থেকে- বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাজার হাজার তলাবা, ওলামা ও সাথীদের উপস্থিতিতে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর জামিয়াতু ইবরাহীম সাইনবোর্ড এর মুহতামিম মুফতি শফীকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফরিদাবাদ মাদরাসার শাইখুল হাদীস মুফতি নুরুল আমিন, মেরাজনগর মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা রশিদ আহমাদ,জামিয়াতু আবু বকর রা. এর মুহতামিম মুফতি বোরহান উদ্দিন, ডেমরা ইমাম ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী।
ইত্তেফাকুল মাদরাসিল কওমিয়া ডেমরা'র সেক্রেটারী মাওলানা নেছার আহমাদ মাদানী, ওলামানগর মাদরাসার শাইখুল হাদীস মাওলানা মুখলেছুর রহমান কাসেমী, বাইতুন নুর মাদরাসা সায়দাবাদ এর মুহতামিম মুফতি মনিরুজ্জামান উলুমে শরইয়্যা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা শরীফুল্লাহ, জামিয়া ওসমান ইবনে আফফান রা.মাতুয়াইল'র মুহতামিম মাওলানা মাহমুদ হাসান সিরাজী, যাত্রাবাড়ী থানা মসজিদের ইমাম মাওলানা তাওহিদুল ইসলাম, মুফতি ইয়াসিন আহমদ ও মুফতি মুজিবুর রহমান [মুজিব তাশফিন] প্রমুখ।
বক্তাগন বলেন, ওয়ারিসে নবী ওলামায়ে কেরাম এর উপর পরিকল্পিত এই সন্ত্রাসী হামলার বিচার সরকারকে করতেই হবে। নির্বাচনের নামে এই হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে কোন টালবাহানা সহ্য করা হবে না।
বক্তাগণ আরও বলেন, ইজতেমা ও ইজতেমার মাঠ নিয়ে যেকোন ধরনের চক্রান্ত হলে তা ওলামায়ে কেরাম প্রতিহত করবে।
সবশেষে ওলামায়ে কেরামগণ নৃশংস হামলার হুমকিদাতা সা'দপন্থী ওয়াসিফ ও বিতর্কিত শাহবাগী আলেম ফরীদ উদ্দীন মাসউদের গ্রেফাতারের জন্য সরকারকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মুনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাবেশ সমাপ্ত করেন।
সমাবেশের পর বিশাল মিছিল নিয়ে বের হয় হাজারো তৌহিদি জনতা। শ্লোগানে শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে গোটা এলাকা। মিছিলটি যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু হয়ে সাইনবোর্ড এসে শেষ হয়।
সাভার
টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সা’দপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে সাভারে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উলামায়ে কেরাম ও সাধারণ তাবলীগের সাথীরা। মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপিও পেশ করেছেন নেতৃবৃন্দ।
দাওয়াতে তাবলিগের বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে টঙ্গি ইজতেমা মাঠে গত ১ ডিসেম্বর শনিবারে মাওলানা সা’দের অনুসারীগণের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সর্বস্তরের মুসল্লীগণ।
মিছিলের শুরুতে বক্তারা হামলাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, গত শনিবার সকাল থেকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা টঙ্গীর মাঠ দখল করার জন্য মাঠে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবীদের উপর লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে একাধিক সাথীকে শহীদ করে এবং প্রায় ৩০০ বা অধিক সাথীদের জখম করে আহত করেছে। আমরা সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ হামলায় সাভারের মাওলানা জিয়া বিন কাসেমকে স্থানীয় উলামায়ে কেরাম জড়িত বলে মনে করছেন। এ ছাড়াও সাভারের তাবলীগের সাথী শাফিক, ডা. আ. কুদ্দুসগং এর নেতৃত্বে একদল উগ্র সন্ত্রাসী এ হামলায় অংশগ্রহণ করেছিল বলেও অভিযোগ তুলছেন সাভারের উলামায়ে কেরাম৷
এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা দাওয়াতে তাবলীগের ইতিহাসে ঘটেনি । এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত এবং দেশের আলেম উলামা এবং মুসল্লিদের মাঝে ঐক্য বিনষ্টের সুক্ষ্ম চক্রান্ত বলে দাবি করেন বক্তারা।
মীরপুর
এইচ এম সাইফুদ্দিন আল সাইফি
আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়ার সভাপতিত্বে, মুফতি হামেদ জহিরির পরিচালনায় মীরপুর আরজাবাদ এলাকায় ইজতেমার ময়দানে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন আরজাবাদ মাদরাসার মুহাদ্দিস রহমতে এলাহি আরমান, শারফুদ্দিন ইয়াহইয়া কাসেমি, সাইফুদ্দিন ইউসুফ ফাহিম, মাওলানা রেদওয়ানুর রহমান, কারি আব্দুল খালেদ আসআদীসহ তাবলিগের আমির মাওলানা তয়্যব ও তার তাবলিগি অসংখ্য সাথি ভাই।
এ বিক্ষোভ মিছিল গাবতলি জমিদার বাড়ী মসজিদ থেকে বড় বাজার হয়ে আরজাবাদ মাদরাসার সামনে দিয়ে এসে দারুস সালাম থানার সামনে এসে বক্তব্য ও মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
মোহাম্মদপুর ঢাকা
টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সা’দপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মোহাম্মদপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উলামায়ে কেরাম ও সাধারণ তাবলীগের সাথীরা। মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপিও পেশ করেছেন নেতৃবৃন্দ।ইত্তেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া, মোহাম্মদপুর ঢাকার উদ্যোগে এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম
ইশতিয়াক সিদ্দিকী: চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে গত ১ ডিসেম্বর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে আজ সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, দারুল উলুম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস ও তাবলীগের মুরুব্বি মাওলানা মুফতি জসিম উদ্দিন, ফিরোজশাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা হাফেজ তাজুল ইসলাম, মোজাহের উলুম মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা লোকমান হাকীম, হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ইয়াসিন, শহিদুল ইসলাম, কলিম হোসাইন, মাওলানা সাইফুল হক, মাওলানা সরোয়ার আলম, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আরিফুল্লাহ, মাওলানা জাকারিয়া মাদানী।
গত ১ ডিসেম্বও টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলে নিতে সেখানে অবস্থানকারী তাবলীগের সাথী, উলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা ছাত্রদের ওপর ভারতের বিতর্কিত মাওলানা সাদ অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।
এতে কয়েকজন নিহতসহ আহত হয় ৩ শতাধিক উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। এ হামলার উস্কানিদাতা হলেন ইঞ্জি. ওয়াসিফুল ইসলাম, খান শাহাবুদ্দীন ও মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
হাটহাজারী
ইশতিয়াক সিদ্দিকী: সোমবার সকাল ১১ টায় হাটহাজারীর আলেমসমাজ, তাবলীগের সাথী ও সর্বস্তরের মুসল্লিদের পক্ষ থেকে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের হাতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা আবু আহমদ, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মুফতি শিহাব উদ্দিন, মাওলানা শফীউল্লাহ, মাওলানা ইব্রাহিম খলিলসহ স্থানীয় তাবলীগী সাথি ও মুসল্লীগণ।
এসময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ টঙ্গির মাঠে তাবলীগী সাথী, আলেম সমাজ ও মাদারাসা ছাত্রদের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানান।
নির্ধারিত তারিখে ইজতেমা হওয়ার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
সিলেট
সিলেটে আলেম ওলামা ও মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক ও তাবলীগের সাথীদের উদ্যোগে গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে নিরীহ মাদরাসা ছাত্র ও তাবলিগ জামাতের সাথীদের উপর ওয়াসিফ, নাসিম গং যে বর্বরোচিত হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে সোমবার (৩রা ডিসেম্বর) সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাদ যোহর বিভিন্ন মাদ্রাসা ছাত্র শিক্ষক ও মসজিদের মুসলি ও তাবলীগের সাথীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্টে জড়িত হতে থাকে। এক পর্যায়ে কোট পয়েন্টে লাখ মানুষের সমাগম ঘটে।
দরগাহ মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস মুফতি মাওলানা মহিবুল হক গাছবাড়ীর সভাপতিত্বে এবং কাজির বাজার মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা শাহ মমশাদ আহমদ ও মাওলানা আব্দুল কাদির খানের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে আলেম ওলামা ও তাবলীগের সাথীরা বলেন, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইকরায় ওয়াসিফ, নাসিম গংদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে, ব্রিফিং করে এবং সারারাত প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে সকালে ছাত্রদের উপর হামলা করার জন্য তাদের প্রেরণ করা হয় ইজতেমা ময়দানে।
তারা আরো বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াতে তাবলীগ জামাতের প্রতি অনুরাগী ছাত্ররা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির জন্য স্বেচ্ছাসেবা দানের লক্ষ্যে শুক্রবার এবং শনিবার ইজতেমা ময়দানে জমায়েত হয়।
কিন্তু শনিবার সকালে ওয়াসিফ,নাসিম গং সেখানে আসতে শুরু করে, সেসময় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিলেও বেলা এগারো টায় যখন ছাত্রদের উপর ওয়াসিফ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা হামলা করে, তখন প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় সন্ত্রাসী বাহিনী গেটগুলো ভেঙে ময়দানের ভিতরে প্রবেশ করে দেশীয় বিভিন্নরকম অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, রড ইত্যাদি নিয়ে সরলমনা ও নিরস্ত্র ছাত্র ও একনিষ্ঠ সাথীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
বক্তারা বলেন, টঙ্গীতে ওলামাদের রক্তের বিনিময়ে এদেশে সাদ পন্থিদের কবর রচনা করা হবে। শুক্রবারের হামলায় অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন, অনেকের প্রাণ গিয়েছে। এই হত্যাকান্ডের দায়দায়িত্ব প্রশাসনের বহন করতে হবে।
বক্তারা সভা থেকে ৮ দফা দাবি পেশ করেন জামেয়া ক্বাসিমূল উলূম দরগাহ হযরত শাহজালাল (রহ.) মাদ্রাসা সিলেটের শায়খুল হাদীস মাওলানা মুহিব্বুল হক গাছবাড়ী।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, মাওলানা ক্বারী সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাদির খান, মাওলানা সৈয়দ শামীম আহমদ, আলহাজ্ব এমরান আলম, মাওলানা রুহুল আমিন নগরী, মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, সামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আলহাজ্ব একরামূল আজিজ, মুফতি মতিউর রহমান, সৈয়দ শুয়াইব আহমদ, মাওলানা আখতারুজ্জামান তালুকদার, হাফিজ মাওলানা আব্দুল করিম দিলদার, জামাল তারেক বুলবুল, মাওলানা মকবুল আহমদ, আবুল ফাত্তাহ, মাওলানা এমদাদুল হক নোমানী প্রমুখ।
ঈশ্বরগঞ্জ
ঈশ্বরগঞ্জে ( ময়মনসিংহ )ইত্তেফাকুল ওলামার উদ্যোগে মাওলানা সাদপন্থীদের হামলায় শহিদ ইসমাইল মন্ডলের হত্যা কারীদের ফাঁসি ও সহযোগীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে রোববার (২ নভেম্বর) কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ঈশ্বরগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন উলামায়ে কেরাম।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা মাওলানা সা’দ ও ওয়াসিফ বিল্লাহ কে ফাঁসির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ইত্তেফাকুল ওলামার সভাপতি মাওলানা আবুল ফজল, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল আলম, মুফতি শফিকুল ইসলাম, মুফতি নাইমুল হাসান, মুফতি কাউসার আহমেদ, মাওলানা রুহুল আমিন রাজি, মাওলানা হিফজুর রহমান, মাওলানা ওবায়দুল হক, মাওলানা আবুল কালাম, হাফেজ আহমদ আলী, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মাওলানা নুরে আলম প্রমুখ।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, আমরা জানি, ঈশ্বরগঞ্জ থেকেও কিছু সাদ পন্থীরা টঙ্গী গিয়ে এই বর্বর হামলায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশকে সিরিয়ায় রুপান্তর করার জন্য ইহুদি নাসারারা একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত করতেছে। তাদেরকে সনাক্ত করে আইনের আওয়াতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
সমাবেশ শেষে মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
কুষ্টিয়ায়
আব্দুম মুনিব: টঙ্গী ময়দানের বিশ্ব ইজতেমা হক্কানী উলামায়ের নেতৃত্বে হতে হবে। জাতির বিপদকামীদের নেতৃত্বে টঙ্গীতে কোন বিশ্ব ইজেতেমা হতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন কুষ্টিয়া উলামা পরিষদ।
টঙ্গীর বিশ্ব ইজেতেমার মাঠে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও পূর্ব ঘোষিত দিনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইজতেমা অনুষ্ঠানের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন পরিষদের নেতারা।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে কুষ্টিয়া জেলা তাবলীগ ও উলামা পরিষদ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- জেলা জেলা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি আব্দুল হামিদ।
বক্তব্যে তাদের অভিযোগ তাবলীগ জামাতে মজলিসে সুরার অন্যতম মুরব্বী মাওলানা সাদ আহম্দে একজন পথভ্রষ্ট ও ভুল ব্যাখ্যাদানকারী হিসেবে ধর্মপ্রাণ মুসলীমদের নানাভাবে বিভ্রান্ত করে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে।
গত ১ডিসেম্বর টঙ্গীস্থ ইজতেমা ময়দানে মাঠ প্রস্তুতে কর্মরত মুসল্লীদের উপর হামলা ও হত্যাকান্ডে মধ্যদিয়ে স্পষ্ট হয়েছে। এঘটনার ফলে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও অনুষ্ঠিত্য ইজতেমা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে শান্তিপূর্ণ ইজতেমা নিশ্চিত করে এবং ওই নৃশংস ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন নেতারা। এসময় সেখানে জেলা তাবলীগের নেতৃত্বদানকারী ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তাবলীগের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা আবু দাউদ, মওলানা রফিকুল ইসলাম, ফিরোজুল আলাম, শামসুল হক, লিয়াকত আলী, মাওলানা আব্দুল খালেক, ইলিয়াস হোসেন, ইঞ্জি: শামসুল হক, মোতাহার হোসেন, মো: আজিম উদ্দিন ও হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।
রাজশাহী
আজ ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় রাজশাহী শহরের মূল কেন্দ্র সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে রাজশাহীর সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও তাবলীগের সাথীবৃন্দ মানববন্ধন করতে গেলে পুলিশ অনুমতি নেই বলে মানববন্ধনে নিষেধ করে।
পরে রাজশাহী কোর্ট শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশের রাস্তায় কিছুক্ষণের জন্য মানববন্ধন করার অনুমোদন পেলে সেখানেই মানববন্ধন করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ।
এরপর বেলা সাড়ে এগারটার দিকে জেলাপ্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।
ওলামায়ে কেরাম ও তাবলীগী সাথীবৃন্দের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করেন- মাওলানা আব্দুর রউফ কাসেমী, মাওলানা আব্দুল্লাহ তালহা, মাওলানা ইমরান উদ্দীন, ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমদ, আলহাজ আবুল কাসেম ও আলহাজ আব্দুল মালেক।
মৌলভীবাজার
২ নভেম্বর মৌলোভীবাজারের উলামায়ে কেরাম মাওলানা সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষাভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর ৬ দফার দাবি জানিয়ে স্বারকলিপি দিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম।
বরিশাল
এদিকে বরিশালেও ইজতেমায় মাওলানা সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি পেশ করেছেন উলামায়ে কেরাম।
বগুড়ায় উলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মানুষের বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি পেশ
সরাইলে উলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মানুষের বিক্ষোভ শেষে স্মারকলিপি পেশ
চাঁদপুরে
টঙ্গী ময়দানে ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসার ছাত্রদের ওপর সাদপন্থী এতায়াতীরা নৃশংসভাবে হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুর জেলার সর্বস্তরের জনগণ সাদপন্থীদের এই জঘন্য হামলার বিচারের দাবি জানান।
সোমবার সকাল দশটায় চাঁদপুর শহরে বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হয়। শহরের কালিবাড়ি মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য করেন, মুফতি সিরাজুল ইসলাম, মুফতি রবিউল ইসলাম, মাওলানা লিয়াকত হোসাইন, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা আবদুল হালীম, মুফতি মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ
সারাদেশের সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে নিম্নোক্ত ৬ দাবি পেশ করা হয়
১. এ হামলার নির্দেশদাতা ওয়াসিফুল ইসলাম, শাহাবুদ্দীন নাসিম, ফরীদ উদ্দীন মাসউদ ও জিয়া বিন কাসেমসহ হামলার সাথে জড়িত সকলকে আগামী ২৪ ঘন্টার ভিতরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
২. আহত নিহতদের ক্ষতি পূরণ ও চিকিৎসার ব্যাবস্থা করতে হবে।
৩. টঙ্গী ময়দানে এতদিন যেভাবে শুরা ভিত্তিক পরিচালিত তাবলীগের সাথী ও উলামায়ে কেরামের অধীনে ছিলো তাদের কাছেই হস্তান্তর করতে হবে।
৪. অতিসত্ত্বর কাকরাইলের সকল কার্যকলাপ হতে ওয়াসিফ ও নাসিমগংকে বহিস্কার করতে হবে।
৫. সারাদেশের উলামায়ে কেরাম ও শুরা ভিত্তিক তাবলীগের সাথীদের উপর হামলা – মামলা বন্ধ করে পূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. বিশ্ব ইজতেমা যথাসময়ে পূর্বঘোষিত (১৮, ১৯, ২০) অনুষ্ঠানের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।