আওয়ার ইসলাম: টঙ্গী ইজতেমা মাঠের গেট ভেঙে মাঠে প্রবেশ করেছে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। ভেতরে তারা ছাত্রদের দেখলেই মারধর করছে বলে জানিয়েছেন মাঠে থাকা শাইখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের এক শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, মাঠে অন্যদিনের মতোই ইবাদত জিকির আযকারে লিপ্ত ছিল তাবলীগের সাথী ও উলামায়ে কেরাম। হঠাৎ করেই তারা লাটিসোটা হাতে মাঠে প্রবেশ করে। তারা ছাত্রদের দেখলেই মারধর করছে।
আওয়ার ইসলামের টঙ্গী প্রতিনিধি জানান, প্রায় অর্ধশত ছাত্র, মুরব্বি মারাত্মক আহত হয়েছেন। তাদেরকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালসহ আসপাতালের হাসপাতালগুলোতে নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সাদ অনুসারীদের হামলায় মাঠের ভেতর ছাত্র মুরব্বি কেউ রেহায় পাচ্ছে না।
জানা যায়, গতকাল রাত থেকেই মাওলানা সাদ অনুসারীরা পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী জোড় পালন করতে জড়ো হতে থাকে। তারা মাঠে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন অভিযোগে উলামায়ে কেরাম গেটে পাহারা দেন।
তবে বেলা ১১ টার পর সাদ অনুসারীরা মাঠের গেট ভেঙে দলে দলে প্রবেশ করতে থাকে।
এদিকে উত্তরায় দুই পক্ষের হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ডিএমপির উত্তরা জোনের ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার (এসি) জুলফিকার জুয়েল বলেন, টঙ্গিতে জোর অনুষ্ঠিত হওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপ। এক গ্রুপ অপর গ্রুপকে ঠেকাতে শনিবার ভোর থেকে উত্তরার বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের ফোর্সরা কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মতো এবারও নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাবলিগের ইজতেমা ও জোড় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী কাজ করছিলেন তাবলীগের সাথী ও উলামায়ে কেরাম। কিন্তু গত ২৭ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে মাঠ দখলে নেয়ার হুমকি দেন বিতর্কিত মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
মাওলানা সাদের অনুসারীরা ৩০ নভেম্বর থেকে ইজতেমা মাঠে জোড় আয়োজন করার ঘোষণা দিয়ে আসছিল। সে অনুযায়ী আজ তারা মাঠ দখলে নিতে সকাল থেকেই জড়ো হন বলে জানিয়েছেন তাবলীগের সাথীগণ।
ইজতেমা মাঠে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা; সতর্ক পাহারায় আলেম ও সাথীরা