শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৮ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চান্দিনায় কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : মাওলানা বোরহান উদ্দিন   বিশ্বের ৪৫০ প্রভাবশালী ইহুদির ইসরায়েলের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান মহেশখালীতে মহানবী (সাঃ)-কে অবমাননার অভিযোগে উত্তম কুমার গ্রেফতার ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সাভারে ইত্তিহাদুল উলামার বিক্ষোভ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে ছেলের সাথে প্রাণ গেলো বাবার ইসকন নিষিদ্ধসহ সাত দফা দাবীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ১০ বিভাগীয় শহরে জামায়াতসহ ৮ দলের বিক্ষোভ শনিবার ইসকন বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ

ইজতেমা মাঠে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা; সতর্ক পাহারায় আলেম ও সাথীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিশ্ব ইজতেমা মাঠে বিতর্কিত মাওলানা সাদপন্থীদের প্রবেশের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর বিমানবন্দরের সামনেও সকালে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। যাতে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা সকালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় তাবলীগের সাথী ও উলামায়ে কেরাম বাধা দিলে তারা সংঘর্ষ বাঁধায়।

তবে সকাল থেকেই বিপুল পরিমাণ পুলিশ চেষ্টা করছে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মাওলানা সাদপন্থীরা যাতে ইজতেমায় প্রবেশ করে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না করতে পারে সে জন্য গেটে ও রাস্তায় কড়া পাহারা দিচ্ছেন।

এদিকে মাঠে প্রবেশের জন্য সাদ অনুসারীরা বিমানবন্দর, কামারপাড়া ও টঙ্গীর আশপাশে অবস্থান করছে।

তাবলীগের চলমান এ দ্বন্দ্ব বিষয়ে সাথী ও উলামায়ে কেরাম বলেন, দীনি বিষয়ে কোনো ভুলভ্রান্তি হলে উলামায়ে কেরাম নিরসন করে দেবেন। সাধারণ মানুষ সে অনুযায়ী চলবে এ রীতি চলে আসছে যুগ যুগ। কিন্তু মাওলানা সাদের ভুল ধরিয়ে দেয়ার পরও তারা সেটি মানতে নারাজ। এ জন্যই চলমান সঙ্কট।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা এবং এর আগে জোড়কে কেন্দ্র করে প্রতিবারের মতোই মাঠ প্রস্তুতের কাজ করছেন তাবলীগের সাথী ও উলামায়ে কেরাম। কিন্তু ৩০ নভেম্বর থেকে মাওলানা সাদপন্থীরা সেখানে জোড়ের ঘোষণা দেয়।

এ উপলক্ষ্যে তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করে মাঠ দখলেরও ঘোষণা দেয়। এটি নিয়েই মূলত সঙ্কট তৈরি হয়।

উল্লেখ্য, আগামী ৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টঙ্গী ময়দানে তাবলিজ জামাতের নিয়মতান্ত্রিক জোড় অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ জানুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে তিন দিনের ইজতেমা। সে মুতাবেক মাঠ প্রস্তুতের কাজ করছেন তাবলীগের সাথীগণ।

মাওলানা সাদ কান্ধলভী তাবলিগ জামাতের একজন শীর্ষ মুরব্বি। তবে গত কয়েক বছর ধরে তার নিজেকে আমির দাবি ও নবীর শানে বিতর্কিত কিছু বক্তব্যসহ কিছু ভুল মাসআলা দেয়ায় তা সংশোধনের চেষ্টা করেন ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দসহ বাংলাদেশের উলামায়ে কেরাম।

কিন্তু এসব ভুল থেকে এখন পর্যন্ত পরিস্কারভাবে ফিরে না এসে নিজের অবস্থানে অটুট আছেন।

এদিকে উলামায়ে কেরাম ও তাবলীগের বাংলাদেশের মুরব্বিগণ ঘোষণা দিয়েছেন, মাওলানা সাদ তার ভুল থেকে ফিরে আসলে সবাই তাকে মানবেন। কিন্তু এসব ভ্রুক্ষেপ না করে নিজের অবস্থান অটুট রাখায় তাবলীগ জামাতে চলমান এ সঙ্কট।

চলমান এ পরিস্থিতিতে উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মাওলানা সাদ কান্ধলভী তার ভুল থেকে ফিরে না এলে তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না এবং তার মতও প্রচার করতে দেয়া যাবে না। বাংলাদেশের তাবলীগের মারকাজ কাকরাইল সে অনুযায়ী নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

ইজতেমা মাঠে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছে ইসি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ