আওয়ার ইসলাম: টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে ৫ দিনের জোড় করতে মাঠ নিজেদের দখলে নিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
সংবাদ সম্মেলনে তারা ইজতেমায় জোড়ের কাজ করা তাবলীগের সাথী ও উলামায়ে কেরামকে হঠিয়ে নিজেদের দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
একই সঙ্গে তারা ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা মাওলানা সাদপন্থীদের করতে দেয়ার ব্যাপারে আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানায় তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস মোল্লা বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দের নামে কিছু আলেম তাবলিগ বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
বক্তব্যে তিনি আরও জানান, ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জোড়কে বানচাল করতে একটি মহল বিভিন্ন তৎপরতা চালাচ্ছে। স্বার্থান্বেষী একটি মহল জোড়ের কার্যক্রম ব্যাহত করতে মাদরাসার ছাত্রদের হাতে লাঠিসোঁটা দিয়ে ইজতেমা মাঠ দখলে রেখেছে।
বক্তব্যে বলা হয়, এই অবস্থায় মাঠে কোনো প্রকার দুর্ঘটনা, সংঘর্ষ বা সংঘাত ঘটলে তার দায়ভার কাওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসার মুহতামিম, কমিটি ও তাবলিগের মূলধারাচ্যুত বিদ্রোহী মুরব্বিদেরকেই নিতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, সম্প্রতি একটি মহল পাকিস্তানের ইন্ধনে বিশ্ব ইজতেমাকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। গত বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদকে ফিরিয়ে দিতে তারাই সরকারকে বাধ্য করেছে। যার কারণে অনেক বিদেশি মেহমান ইজতেমা থেকে ফেরত গিয়েছেন।
তাবলিগের মূলকেন্দ্র নিজামুদ্দীন মার্কাজকে উপেক্ষা করে ইজতেমার আয়োজন হলে বিদেশি মেহমানরা অংশগ্রহণ করবে না বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মেজর জেনারেল (অব) মো. রফিক, খাদ্য বিভাগের সাবেক ডিজি রুহুল আমিন, ব্যারিস্টার গাজিউর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
তিন আসনে মনোনয়ন চিঠি পেল মুফতি ওয়াক্কাসের জমিয়ত