আওয়ার ইসলাম: বাংলাদেশে চালু থাকা সকল পর্নোগ্রাফির ওয়েবসাইট ছয় মাসের জন্য বন্ধ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সব অশ্লীল পর্নো সাইট স্থায়ীভাবে বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, আইন সচিব, বিটিআরসি ও পাঁচটি মোবাইল অপারেটর কর্তৃপক্ষকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে পর্নো সাইট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছিল।
পর্নো সাইট মানুষের অবক্ষয়ের মূল কারণ। এর মাধ্যমে বিশেষ করে যুব সমাজ অধপতনের দিকে ঝুঁকছে। এ কারণে চিনসহ বিশ্বের অনেক দেশেই পর্নো সাইট পুরোপুরি বন্ধ।
পর্নোগ্রাফি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ চীনের
পর্নোগ্রাফি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। দেশটিতে সব ধরনের পর্নো সাইট বন্ধ। তবুও মাঝে মাঝে এমন সাইটের দেখা মেলে। সেগুলোর খবর দিলেই মিলবে পুরস্কার।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা সাইবার জগতের কোথাও পর্নো চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তা দেশটির সাইবার স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে জানাতে বলা হয়েছে।
আর এজন্য খবর দাতাকে দেয়া হবে নগদ ৬ লাখ ইউয়ান বা ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৭২ লাখ টাকা)৷
দেশটির সরকার পর্নোগ্রাফির পাশাপাশি গুজব খবরও রুখতে কাজ করছ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার বিরোধী কোনো গুজব ছডা়নোর খবর দিলেও পুরস্কার দেবে চীন সরকার৷
চীনের ইন্টারনেট রেগুলেটরি অথরিটির মতে পর্নো কিংবা বিভিন্ন ভুয়া খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে৷ যা সমাজে অবক্ষয় ঘটায়। পাশাপশি দেশের ঐক্যও নষ্ট করে, তাই এ ব্যবস্থা৷
‘সাইবার স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব চায়না’ ইতোমধ্যে ফেসবুক থেকে প্রায় ৯ হাজার ৮০০ ফেক প্রোফাইল মুছে দিয়েছে৷ কারণ এসব প্রোফাইল থেকে সরকার বিরোধী গুজব ও পর্নোগ্রাফি ছড়ানো হতো বলে জানা গেছে।
কাশ্মীরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সেনা সদস্যসহ নিহত ৫
আরআর