শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
খেলাফত মজলিস রিয়াদ মহানগরী শাখার তরবিয়তি মজলিস দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা তালেবান সরকারের নিষিদ্ধের তালিকায় মওদুদীর বই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা পর্তুগালের যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৪ দালাল ধরে গিয়েছিলেন ইরাকে, ময়লার ভাগাড়ে তিন টুকরায় মিলল লাশ দক্ষ কর্মীদের ভিসা ফি ১,৫০০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করলেন ট্রাম্প নোয়াখালীতে অটোরিকশা উল্টে প্রাণ গেল নারীর ,আহত-৪ ইসলামী ছাত্র মজলিস সিলেট মহানগর, জেলা ও শাবিপ্রবি’র সহযোগী সদস্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি নাসির উদ্দিন এডভোকেট এর ইন্তেকাল

বিএনপির কাছে যে ১০ আসন চেয়ে অনড় জমিয়ত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ : মনোনয়ন জমা দেয়া শেষ। এবার শরীক দলগুলোর আসন ভাগাভাগির পালা। কে কত আসন পাবে, কাকে দেয়া হবে কতো, এ নিয়ে দরকাষাকষি দীর্ঘ দিনের। তবে চূড়ান্ত বণ্টন হবে আগামী দুই একদিনের মধ্যে।

২০ থেকে ২৩ দলীয় জোট হওয়া সরকার বিরোধী বড় জোটের অন্যতম শরীক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। আল্লামা শায়খ আবদুল মোমিনের নেতৃত্বে দলটি ৫০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও চূড়ান্তভাবে চাইবে ১০ আসন।

এর কম আসন পেলে দলটি অন্যরকম চিন্তা করতে পারে বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে বৃহৎ এ জোটটিতে এবার দলের সংখ্যা বাড়ায় আসন নিয়ে বেশ চাপাপাপি হবে এমনটিও বলছেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

১৯৯৯ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি (একাংশ) এবং ইসলামী ঐক্যজোট মিলিত হয়ে চার দলীয় জোট গঠন করা হয়। পরবর্তীতে আরো কয়েকটি দল নিয়ে ২০ দলীয় জোট গঠন করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আরও ৩ দল যুক্ত হয়ে এটি এখন ২৩ দলীয় জোটে পরিণত হয়েছে।

এদিকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব গঠিত ঐক্যফ্রন্টেও যোগ দিয়েছে বিএনপি। সেখানে বেশ কয়েকটি দল এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি রয়েছেন। যারা প্রত্যেকে বিভিন্ন স্থান থেকে নির্বাচনে আসবেন। এসব বিবেচনায় ছোট দলগুলো এক একাধিক আসনের বেশি পাবেন বলেই বিশ্লেষকদের মত।

জানা গেছে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে অর্ধশত মনোনয়ন ফরম জমা হলেও চূড়ান্তভাবে ১০টি আসন জোট থেকে আদায়ের চেষ্টা চলছে। দলটির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন।

আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে সিলেট ৬ থেকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি উবায়দুল্লাহ ফারুক, সুনামগঞ্জ ৩ থেকে দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ২ থেকে সহকারী মহাসচিব মাওলানা শোয়াইব আহমদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসন থেকে দলের সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, হবিগঞ্জ ১ থেকে সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী,  নারায়ণগঞ্জ ৪ থেকে যুগ্ম মহাসচিব মুনির হোসাইন কাসেমী, চট্টগ্রাম ৫ থেকে সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন মুনির।

নীলফামারী ১ থেকে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সিলেট-৪ আসনে সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান, ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ থেকে জমিয়ত ঢাকা মহানগরীর শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী।

গত ১৩ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে জমিয়ত। মনোনয়নপত্র বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দলের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। প্রথম দিনে দলের ১৭ নেতা ফরম নেন।

দল ও জোটের সভা সমাবেশে সবসময় সক্রিয় থাকলেও মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী নির্বাচন করবেন না। এছাড়া দলের সভাপতি আল্লামা আবদুল মোমিন নির্বাচনি কর্মকাণ্ড থেকে শুরু থেকেই নিজেকে দূরে রেখেছেন।

‘আলেম সমাজকে সম্মান করুন, তাদের ওপর আস্থা রাখুন’

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ