শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


শীতে গরিবদের দুই কষ্ট; দেখবেন কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসমাঈল আযহার: পৃথিবীতে একমাত্র ষড়ঋতুর  দেশ বাংলাদেশ। হেমন্তকালের পর খুব দ্রুই যেন সারা বাংলায় শীত ছড়িয়ে পড়ে। অন্য পাঁচ ঋতুতে বাংলাদেশের গরিবদের মাত্র একটা কষ্ট থাকে। তা হল খাবারের কষ্ট।

আর শীতকালে তা বেড়ে দাঁড়ায় দুইয়ে। খাবারের কষ্টের পাশাপাশি তাদের ঠাণ্ডার খুব কষ্ট হয়। শীতে গরিবদের উষ্ণবস্ত্রর অভাব হয়ে পড়ে।

মধ্য ও উচ্চবিত্তরা একেক জন দু’তিন অথবা এরচে’ বেশি শীত কাপড়ও অনেকে কেনেন। কিন্তু গরিব দুখিরা ছেঁড়া-ফাঁড়া পুরোনো একটি কাপড়ও পায় না শীত নিবারনের জন্য।

আমরা সচ্ছল পরিবারগুলো যদি একটু এগিয়ে আসি তাহলে গরিবদের কষ্ট লাঘব হবে। অনেক পরিবার বেঁচে যাবে শীতের প্রকোপ থেকে। প্রত্যেক এলাকার যুবকরা মিলে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি। চাঁদা তুলে বাস্তিবাসীদের জন্য ব্যবস্থা করতে পারি শীতকাপড়ের।

মহল্লার মহাজনরাও গরিবের জন্য শীতকাপড় ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে পারি। তাদের শীতের বাড়তি কষ্ট থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।

সর্বোপরি আমরা সকলশ্রেণির মানুষ যদি এ বিষয়ে এগিয়ে আসি তাহলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে পারে বহু সংখ্যক গরিব, দুখি ও নিঃস্ব মানুষ। তারা তো আমাদেরই কারো না কারো দাদা দাদি, মা বাবা, ভাই বোন বা আত্বিয় স্বজন। তারা তো আমাদেরই আপনজন।

আমরা যদি তাদের জন্য একটি শীতকাপড়ের ব্যবস্থা না করি তাহলে আমাদের হীন মন-মানসিকতার পরিচয় দেওয়া হবে। তা ছাড়া তাদের জন্য আমরা চিন্তা না করলে আর কে চিন্তা করবে?

এ জন্য আমি সকলকে অনুরোধ জানাবো আপনারা পরিবারের জন্য যখন শীতের কাপড় কিনতে যাবেন অল্প মূল্যের হলেও দয়া করে একটি অতিরিক্ত কাপড় কিনবেন।

আপনার আশপাশে বসবাসরত কোন গরিবের হাতে তুলে দেবেন। তাতে তাদের মুখে হাসি ফুটবে।

অনেক বাবা মা আছেন যারা অসচ্ছলতার কারণে আদরের ছোট শিশুটিকে শীতের বস্ত্র কিনে দিতে পারেন না। সন্তান যখন তাদের কাছে এসে শীতকাপড়ের অাবদার করে, তখন কষ্টে তাদের চোখে পানি আসে। তারা সন্তানের কাছে এক ধরনের ছোট হয়ে যায়।

আমাদের এ পদক্ষেপ মা বাবাদের সন্তানের কাছে ছোট হওয়া থেকে বাঁচাবে। যে সব বাবা মা তাদের সন্তানের হাতে শীতের কাপড় তুলে দিতে পারে না শুধু তারাই বোঝে এর কষ্ট।

অতএব এই শীতে গরিব দুখির পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আশা করি এ অাবেদনের সারা দেবেন। গরিবের মুখের হাসি ফোটানোর জন্য তাদের হাতে তুলে দেবেন একটি গরমকাপড়।


সম্পর্কিত খবর