আওয়ার ইসলাম: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি না মানলে কোনো তফসিল গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে শুক্রবার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঘোষিত তফসিল কার্যকর করতে হলে রাজনৈতিক বন্দিদের মামলা তুলে নিয়ে মুক্তি দিতে হবে। নইলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দেশের জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায় করে ছাড়বে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে আবারো তাকে কারাগারে পাঠাতে হয়েছে। তিনি এখনও গুরুতর অসুস্থ। ছোট্ট ঘরের মধ্যে আদালত বসিয়ে তার বিচার করা হচ্ছে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে যোগ দেননি ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগের সমন্বয়ক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু প্রমুখ।
দুপুর আড়াইটায় সমাবেশ শুরু হলেও জুমার পর থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ে নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এটি চতুর্থ জনসভা। এর আগে ৬ অক্টোবর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তার আগে ২৪ অক্টোবর সিলেটে ও ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে জনসভা করেছে ডা. কামাল হোসেনে নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
‘আপসহীন নেত্রীকে কারাগারে রেখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচন নয়’
এসএস