আওয়ার ইসলাম: গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই আমাদের চাওয়া। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সরকার কতোটা আন্তরিক তা টের পাবো সংলাপেই।
তারাও (সরকার) জানেন, যে নির্বাচনে মানুষ অংশগ্রহণ করে না, সেই নির্বাচন থেকে কিছু পাওয়া যায় না। এই উপলব্ধি নিশ্চয়ই তাদের হয়েছে। তা না হলে তো আমাদের আলোচনায় ডাকার কোনো দরকার তাদের ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)’র ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জসদ) এর নেতা আ.স.ম আব্দুর রব।
ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণের ঐক্য অতীতে কখনো বিফল হয়নি, এবার হবে না। জনতার ঐক্যের ফলেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই সংলাপের সফলতা ঐক্যবদ্ধভাবে ধরে রাখতে হবে। যাতে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে সংলাপের সফলতা জিম্মি হতে না পারে।
তিনি আরো বলেন, জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে, স্বৈরাচার আন্দোলনে সফল হয়েছে। জনতার এই ঐক্য আগামিতেও বিজয় আনবে।
ড.কামাল হোসেন বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই বোঝা যাবে সরকার কতটা করার জন্য প্রস্তুত, কোন কোন ইস্যুতে তাদের দ্বিধা আছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুটি মামলার রায়ে সাজা বাড়ানো হয়েছে।
এ রায়কে কেন্দ্র করে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এতে সংলাপের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাজা বাড়িয়ে সরকার ৭ দফার এক দফা লঙ্ঘন করেছে। সংলাপ নিয়ে এখনো আমরা আশাবাদী নই।
জেএসডির এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমূখ।
মহানবির কটূক্তিতে ফাঁসির আদেশ হওয়া এশিয়া বিবির বেকসুর খালাস!
-এটি