বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫


সংবর্ধনার দাওয়াত নিয়ে গণভবনে যাচ্ছেন আল্লামা শফী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ >

কওমি মাদরাসা বিল জাতীয় সংসদে পাস করায় প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা উপলক্ষে আগামীকাল সোমবার তার সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে যাচ্ছেন হাইআতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা আহমদ শফী।

রবিবার (২১ অক্টোবর) কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাক অফিসে হাইআতুল উলইয়ার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের (৬ নং) কক্ষে সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া বৈঠক শেষ হয় দুপুর ২ টায়।

বৈঠকে সংবর্ধনা বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। তবে সংবর্ধার স্থান ও সময় এখনো নিশ্চিত হয়নি।

তবে এ সংবর্ধনা সারাদেশের দাওরায়ে হাদিস মাদরাসার মুহতামিমগণ দেবেন এরকম মতামতও ওঠে আসে বৈঠকে।

জানা যায়, কওমি মাদরাসা সরকারি স্বীকৃতির হকদার দেশের দাওরায়ে হাদিস মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকগণ। সে হিসেবে তাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়াই উপযুক্ত বলে মনে করছে শীর্ষ আলেমগণ।

এ বিষয়ে বেফাকের সহসভাপতি মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু আওয়ার ইসলামকে বলেন, শুরুতেই বৈঠকে আল্লামা আহমদ শফী সংবর্ধনা ও এর প্রক্রিয়া বিষয়ে মতামত নেন। একে একে সবাই এ বিষয়ে মতামত পেশ করলে আল্লামা আহমদ শফী নিজের মতামতও পেশ করেন।

আল্লামা আহমদ শফী নিজের মতামত জানিয়ে বলেন, আমি মনে করি সারাদেশের দাওরায়ে হাদিস মাদরাসার মুহতামিমগণ প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেবেন।

সভায় আল্লামা আহমদ শফী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আল্লাহর ওয়াস্তে স্বীকৃতি দিয়েছেন আমরাও দুনিয়াবী কোনো উদ্দেশ্য নয় বরং এর কৃতজ্ঞতা আদায় করার লক্ষ্যেই তাকে সংবর্ধিত করতে চাই। এর মধ্যে আমাদের আর কোনো উদ্দেশ্য নেই।

বৈঠকে উপস্থিত অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংবর্ধনার বিষয়ে বৈঠকে সবার মতামত নেয়া হলেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত হবে।

জানা যায়, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে গণভবনে যাবেন আল্লামা আশরাফ আলী, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা আনাস মাদানী, মুফতি নুরুল আমিন প্রমুখ।

হাইআতুল উলইয়ার এ জরুরি বৈঠকে নতুন অফিস সংক্রান্ত আলোচনাও উঠে এসেছে। বর্তমানে মতিঝিলের যে অফিসটি রয়েছে তা পাল্টে বড় স্পেস ও সহজ যাতায়াত এমন স্থানে অফিস নেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব গঠিত হাইআতুল উলয়ার নিজস্ব জমি ও অফিস সংক্রান্ত কমিটি আজ তাদের রিপোর্ট পেশ করে।

কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

ঢাকার কেরানীগঞ্জে তারা একটি স্থানের প্রস্তাব করলে সেটি যাতায়াতে সহজলভ্য নয় বলে নাকচ হয়ে যায়। পড়ে কমিটিকে ঢাকার রামপুর বণশ্রীর দিকে খোলা জায়গায় অফিস স্পেস দেখার পরামর্শ দেয়া হয়।

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা মাহমূদুল হাসান, আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ, আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা আবদুল হামিদ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রহমান হাফেজ্জি, মাওলানা মুসলেহুদ্দীন রাজু, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা আরশাদ রাহমানী, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমিন, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা আবদুল বছির, মাওলানা এনামুল হক প্রমুখ।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে কওমি মাদরাসা স্বীকৃতির বিল পাসের পর পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনার কথা জানায় হাইআতুল উলইয়ার নেতৃবৃন্দ।

সে অনুযায়ী গত ৫ অক্টোবর হাটহাজারীতে হাইআতুল উলইয়ার বৈঠকে চলতি মাসেই সংবর্ধনা দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় আনেন নেতৃবৃন্দ। এ উপলক্ষ্যে ১৫ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়।

বৈঠক উপলক্ষ্যে আজ সকালেই ঢাকার ফরিদাবাদ মাদরাসায় এসে পৌঁছেন আল্লামা আহমদ শফী।

বৈঠকে তিনি নিজের বক্তব্যে উলামায়ে কেরামের ঐক্য সার্বক্ষণিক অটল ও অবিচল রাখতে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, আমরা এক থাকলে কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা কেউ বিনষ্ট করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

‘কওমি মাদরাসার মাধ্যমে ব্যয় ছাড়াই রাষ্ট্র বিশাল শিক্ষিত গোষ্ঠী পাচ্ছে’

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ