আওয়ার ইসলাম: হজরত ওমার রা. মুসলিম জাহানের খলীফা তথা রাষ্ট্রপ্রধান। প্রায় অর্ধ পৃথিবী ছিল যার করায়ত্বে। রাত্রিবেলায় তিনি প্রজাদের দ্বারে দ্বারে ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন। তার সামনে যে কেউ হক কথা বলতে কুন্ঠিত হত না। তিনি ভুল করলে যে কোন ব্যক্তির অধিকার ছিল তার ভুলটা ধরিয়ে দেয়া।
সাহাবী হজরত ওমর রা. -এর অমীয় ৫টি বাণী-
১. “ তোমাদের শাসক হিসেবে আমি হলাম সে ব্যক্তির মত, যেমন কিছু লোক একত্রে সফর করার সময় টাকা-পয়সাগুলো একজনের হাতে জমা দিয়ে বলে- তোমাকে আমাদের প্রয়োজনাদি মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হলো - দায়িত্বপ্রাপ্ত সে ব্যক্তির কি খরচের ব্যাপারে তারতম্য করার সু্যোগ আছে? তেমনি খিলাফতের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও কারও প্রতি তারতম্য করার অধিকার আমার নেই। ”
২. “ রাষ্ট্রের কোষাগারে যা আছে, তা জনগনের আমানত এবং তাদের কল্যানের জন্যই সঞ্চিত। যে পর্যন্ত জনগণের প্রয়োজন পূর্ণ না হবে, সে পর্যন্ত আমাদেরকে খরচ করতে হবে। যদি কোষাগার শূন্য হয়ে যায়, তবে কষ্টের জীবন সকলে মিলে ভাগ করে নেব। ”
৩.“ শাসকরা যখন বিগড়ে যায় তখন জনগণও বিগড়াতে শুরু করে। সর্বাপেক্ষা ইতর সে ব্যক্তি যার প্রভাবে তার অধীনস্থদের মধ্যে অনাচার বিস্তার লাভ করে। ”
৪.“ দূরবর্তী নদীতীরে চর্মরোগগ্রস্ত একটি ছাগী যদি মালিশ করার মত একটু তেলের অভাবে কষ্ট পায়, তবে হাশরের দিন সে সম্পর্কেও রাষ্ট্রপ্রধানকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। ”
৫.“ যে আমার দোষ দেখে অনুগ্রহ করে তা আমাকে জানায় তাঁর প্রতি আল্লাহর করুণা অশেষ ধারায় বর্ষিত হোক ”
হজ পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিশেষ আলোচনা সভা
আরএম/