ইকবাল আজিজ, টেকনাফ প্রতিনিধি
টেকনাফে ‘রেজাউল করিম বিএসসি’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি আল্লামা আহমদ শফি এবং কাওমি মাদরাসাকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন।
ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলত পোস্ট থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে টেকনাফ উপজেলার ওলামায়ে কেরামের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এ উপলক্ষে টেকনাফ পৌরসভার আলো শপিং কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ৭ অক্টোবর বিকালে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অভিযুক্ত রেজাউল করিম বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী আমার ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে আল্লামা আহমদ শফি হুজুর এবং কাওমি মাদরাসাকে নিয়ে বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দেয়। এতে করে টেকনাফের আলেম-ওলামা ও সর্ব সাধারণের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
প্রকৃত পক্ষে আল্লামা আহমদ শফি হুজুরকে আমি আন্তরিকভাবে মন-প্রাণ দিয়ে সম্মান ও ভালোবাসি। তার মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে আমার ছোট মুখ দিয়ে আমার আইডি থেকে বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে নিজেই বিপদ ও অসম্মানিত হওয়ার প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, আমাকে সহ্য করতে পরে না এরকম কথিপয় অসাধু ব্যক্তি বা বন্ধু সমাজ ও আলেমদের কাছে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি সু কৌশলী অশুভ পরিকল্পনা নিয়েছে।
আমার আইডি হ্যাক হওয়ার কারণে সর্বজন শ্রদ্ধেয় আল্লামা আহমদ শফি হুজুরকে নিয়ে আমার অজান্তে অনাখাঙ্খিত অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য আমি সকলের নিকট আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, ক্ষমা প্রার্থী এবং এ ব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বৈঠকে টেকনাফ উপজেলার ওলামায়ে কিরাম ও টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবন্দ উপস্থিত ছিলেন।
টেকনাফ উপজেলা ওলামা পরিষদের পক্ষে -মাও. সাইফুল ইসলাম সাইফী, মুফতি জাফর উল্লাহ, মাও. আশরফ আলী, মাও. ফায়সাল মাহমুদ, মাও. ইবরাহীম, আওয়ার ইসলাম প্রতিনিধি মাও. ইকবাল আজিজ, নাফ বৃহত্তর কওমী ছাত্র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ সাঈদুল ইসলাম সায়েম ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের টেকনাফ উপজেলা সভাপতি সোলতান মাহমুদ, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদর সভাপতি আবদুল মতিন ডালিম, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারী হাফেজ আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
মুফতি ইজহার হেফাজতের কেউ নন, তার দাবি পাগলের প্রলাপ: হেফাজত
-আরআর