শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


পদ্মা সেতুর কাজ ৬০ ভাগ সম্পন্ন, প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শনে যাবেন ১৩ অক্টোবর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৬০ শতাংশ।

এর মধ্যে সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হলেও পিছিয়ে রয়েছে নদী শাসনের কাজ। ৬৫ শতাংশ মূল সেতু ও ৪৪ শতাংশ নদী শাসনের কাজ শেষ হয়েছে।

বর্তমান গতিতে কাজ চালিয়ে যেতে পারলে ২০১৯ সালেই পুরো পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। এ সময় তিনি পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে সমন্বয় বৈঠকে বসেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সেতু ভবনের কর্মকর্তাসহ পদ্মা সেতু প্রকল্পের সকল কর্মকর্তারা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। বৈঠকে রেলমন্ত্রীসহ আরও কয়েকজন সংসদ সদস্য যোগ দিয়েছেন।

এদিকে পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা সেতু; রাখার প্রস্তাব উঠলেও তা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি এই সেতু বঙ্গবন্ধু কন্যার নামে হবে জানালেও দলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, তিনি রাজি নন।

জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফিরে গত সোমবার (১ অক্টোবর) গণভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ কথা জানান শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু করবো বলছি, পদ্মা সেতুই হবে।

কিন্তু সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু হবে না। এটা পদ্মা সেতুই হবে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পদ্মা সেতুর ৬০ শতাংশ কাজের মধে সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজ শতভাগ শেষ হলেও পিছিয়ে রয়েছে নদী শাসনের কাজ।

৬৫ শতাংশ মূল সেতু ও ৪৪ শতাংশ নদী শাসনের কাজ শেষ হয়েছে। মূল সেতু, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়াসহ ৫ পর্যায়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নানা প্রতিকূলতা ও জটিলতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। আরও এক দফা সময় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রকল্প সূত্র জানায়।

বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়ার পর সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মিত হচ্ছে। তবে দফায় দফায় বেড়েছে ব্যয়। তিনদফা ব্যয় বৃদ্ধিতে দেশের এই সর্ববৃহৎ অবকাঠামো নির্মাণে সরকারের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

চালু হয়েছে কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

আরও পড়ুন: এখন সরকারি মাদরাসার ছাত্ররা কওমিতে এসে পরীক্ষা দেবে: আল্লামা শফী


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ