আওয়ার ইসলাম: মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তনের সুযোগ আজ থেকেই চালু হয়েছে। দীর্ঘ দিন আলোচনার পর আজ থেকে চূড়ান্তভাবে এটির অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এতে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের গ্রাহকেরা একে অন্যের নেটওয়ার্কে গিয়ে তাদের কলরেট ও ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারবেন।
অ্যাডভান্সড মোবাইল ফোন ইঞ্জিনিয়ারিং
আজ (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর রমনায় বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে চালুর পর এরই মধ্যে ১৭ জন গ্রাহক সেবা গ্রহণ করেছেন।
জানা যায়, প্রতিবার অপারেটর বদলের ক্ষেত্রে গ্রাহককে খরচ করতে হচ্ছে ১৫৮ টাকা।
অপারেটর পরিবর্তনের জন্য প্রথমেই গ্রাহককে তার সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে কর্তব্যরত সেবাকারীরাই গ্রাহককে প্রয়োজনীয় ফি প্রদান ও তথ্যবালী করে পুরনো নম্বর সম্বলিত নতুন সিম দিয়ে দেবে।
অপারেটর পরিবর্তন করতে প্রতিটি নম্বরের জন্য ফি লাগবে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা (ভ্যাটসহ)। নম্বর ঠিক থাকলেও নিতে হবে নতুন সিম কার্ড। এ জন্য লাগবে সিম পরিবর্তন বা রিপ্লেসমেন্ট কর ১০০ টাকা।
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
অর্থাৎ গ্রাহককে দিতে হবে ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেবা চালু করতে গ্রাহককে আরো ১০০ টাকা বাড়তি দিতে হবে। এর সঙ্গে যোগ হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। সব মিলিয়ে ২৫৭ টাকা খরচ হবে।
তবে সিমের নম্বর পরিবর্তনের জন্য থাকছে কিছু কিছু শর্তাও। নতুন সিমে এই সুবিধা চালু হতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা। সেবা গ্রহণের পরবর্তী ৯০ দিন পর্যন্ত অপারেটর পরিবর্তন করা যাবে না।
বিটিআরসি বলছে, এই উদ্যোগে অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। সরকারের এমন উদ্যোগ সাধুবাদ জানালেও বাড়তি খরচের জন্য এই সেবার জনপ্রিয় হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
জিপিএস কী? আপনার মোবাইলে GPS কিভাবে কাজ করে?