শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১২ পৌষ ১৪৩২ ।। ৭ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে হাদি হত্যার পরিকল্পনা: তদন্তকারী সংস্থা আমি চলে গেলেও আপনারা ইনসাফের লড়াই থামাবেন না : জাবের এবার রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য ‘গাইডলাইন কর্মশালা’ করবে আস-সুন্নাহ এনসিপি ছাড়লেন তাসনিম জারা, নির্বাচন করবেন স্বতন্ত্র পাগলা মসজিদের দানবাক্সে হাদি হত্যার বিচার চেয়ে চিঠি ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমি ইসলামের পক্ষের দুটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী’ ফেনীর আল-জামিয়া আল-মাদানিয়ার ইসলাহি মজলিস ও আবনা সম্মেলন ৩ জানুয়ারি ঢাকা-১৩ আসনে কাল মনোনয়নপত্র জমা দেবেন ইবনে শাইখুল হাদিস চট্টগ্রামের তিন আসনে প্রার্থী পাল্টালো বিএনপি অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা লুবাবার, মেনে চলছেন পর্দা

'উইঘুর মুসলিমদের শরীরে সুই ফুটানো ও নখ তুলে নেয়া হয়'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চীনের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের অখ্যাত অঞ্চল জিনজিয়াং-এ উইঘুর মুসলিমরাই আদিবাসী সমপ্রদায়। অঞ্চলটির উত্তর-পূর্ব দিকে মঙ্গোলিয়ার সীমান্ত পড়েছে আর এর বামদিকে রয়েছে অগুনতি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি। বিশ শতাব্দীর শুরুর দিকে স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১৯৪৯ সালে উইঘুর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জিনজিয়াং অঞ্চলটি কমিউনিস্ট চীনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে এবং আজ অবধি সেভাবেই আছে।

মাদরাসা সভ্য পৃথিবীর অহঙ্কার

সম্প্রতি উইঘুরে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটির সরকার। প্রায় ১০ লাখ মুসলিমকে বন্দী শিবিরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।

গত অগাস্ট মাসে জাতিসংঘের একটি কমিটি জানতে পারে যে, ১০ লাখের মতো উইঘুর মুসলিমকে পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে কয়েকটি শিবিরে বন্দী করে রাখা হয়েছে। কিন্তু বেইজিং সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো আরো বলছে, এসব ক্যাম্পে যাদেরকে রাখা হয়েছে তাদেরকে চীনা ম্যান্ডারিন ভাষা শেখানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর অনুগত থাকতে। আরো বলা হচ্ছে, তাদের নিজেদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সমালোচনা করতে অথবা সেই ধর্ম পরিত্যাগ করতে।

এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

শিনজিয়াং এ সংবাদ মাধ্যম নিষিদ্ধ। ফলে সেখান থেকে প্রকৃত তথ্য পাওয়া কঠিন। তবে সাংবাদিকরা বেশ কয়েকবার ওই এলাকায় যেতে পেরেছেন। তখন সেখানে বেশ কিছু ক্যাম্প এবং প্রত্যেকটি স্তরে পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েছে।

দেখা গেছে, সরকারি কর্মকর্তারা লোকজনের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে দেখছেন। এসব ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অন্য দেশে চলে যেতে সক্ষম হয়েছেন এরকম কয়েকজনের সাথেও কথা বলা সম্ভব হয়েছে।

ওমির নামে তাদের একজন বলেছেন, তারা আমাদের ঘুমাতে দেয়নি। কয়েক ঘণ্টা ধরে আমাকে ঝুলিয়ে রেখে পেটানো হতো। কাঠ ও রবারের লাঠি দিয়ে পেটাতো। তার দিয়ে বানানো হতো চাবুক। সুই দিয়ে শরীরে ফুটানো হতো। প্লাইয়ার দিয়ে তুলে নেওয়া হতো নখ। আমার সামনে টেবিলের ওপর এসব যন্ত্রপাতি রাখা হতো। এসময় অন্যরা যে ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করতো সেটাও আমি শুনতে পেতাম।

ব্যবসাকে সহজ করতে এলো বিসফটি!

তবে চীনের একজন কর্মকর্তা লিও শিয়াওজুন সাংবাদিকদের বলেছেন, চীন সেখানে কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছে যেখানে লোকজনকে নানা ধরনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই হয়তো এটাকে উত্তম পদ্ধতি বলবেন না। কিন্তু মনে রাখতে হবে সন্ত্রাস মোকাবেলায় পশ্চিমা বিশ্ব ব্যর্থ হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

চালু হয়েছে কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ