আওয়ার ইসলাম: তাবলিগ জামাতে চলমান পরিস্থিতিতে উলামাকে কেরামের অবস্থান স্পষ্ট করার লক্ষ্যে রাজধানীর মিরপুরে ১২ নাম্বার হারুন মোল্লাহ ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ওয়াজাহাতী জোড়।
দুপুর ১টা পর্যন্ত এ ওজাহাতি জোড় অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। ঢাকা ও পার্শ্ববর্তি হাজারও ধর্মপ্রাণ মানুষ উপস্থিত হয়েছেন।
জোড়ে তাবলিগ জামাতে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি, জনসাধারণ ও তাবলীগি সাথীদের মাঝে ভুল সুধরানো এবং তাবলিগ জামাতের সমস্যা নিরসনে ওলামায়ে কেরামের অবস্থান পরিস্কার বিষয়ে ওলামায়ে কেরাম বয়ান পেশ করছেন।
জোড়ে কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্য মাওলানা যুবাইর আহমদ, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, আরজাবাদ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, কাপাশিয়ার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, শাইখুল হাদীস মাওলানা সাজিদুর রহমান, উত্তরা আল মানহাল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, টঙ্গি দারুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাসউদুল করিম প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত রয়েছেন।
জোড়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীসহ দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম এবং তাবলিগের কাকরাইল মারকাজের শীর্ষ মুরব্বিরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
তবে দারুল উলুম দেওবন্দের মুফতি হাবিবুর রহমান খায়রাবাদী জোড়ে বয়ান রাখার কথা থাকলেও তিনি এখনো বাংলাদেশ সফরে আসেননি বলে জানা গেছে।
মিরপুরে ওজাহাতি জোড় উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় মাঠ ও আশপাশ। সাধারণ তাবলিগি সাথী, উলামায়ে কেরাম ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান একত্রিত হতে থাকে ভোর থেকেই।
জোড়ের বক্তৃতায় উলামায়ে কেরাম তাবলিগের অতীত ও বর্তমান এবং মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিভ্রান্তি বিষয়ে আলোচনা করেন।
বক্তাগণ বলেন, তাবলিগ জামাতের বয়ান, আমল, তালিম, মশওয়ারা কোনো কিছুতেই আমির নিযুক্ত নেই। এমনকি বিশ্ব ইজতেমায় কে বয়ান করবেন আর কে ইমামতি ও মুনাজাত করবেন তাও নির্ধারণ করা থাকে না কোনো সময়। যুগ যুগ এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই এমন নেজাম পাল্টে নিজেকে সবকিছুর আমির দাবি করে বসলেন মাওলানা সাদ। যা কোনো নেজামেই নেই।
তারা বলেন, তাবলিগে এখন একটিই মাত্র সমস্যা মাওলানা সাদ। তার বিভ্রান্তি, দীনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বক্তব্য বাদ দিলেই তাবলিগ আগের অবস্থানে চলে আসতো। কিন্তু সেটা তিনি না করে পুরো তাবলিগ জামাতকে দ্বিখন্ডিত করে দিলেন। অতএব আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যেন এ ফেতনা কোনোভাবেই বাংলাদেশে না প্রবেশ করে।
বক্তারা আরও বলেন, উলামায়ে কেরাম তাবলিগের কোনো মজমা বা মারকাজ দখলে নিতে চায় না, তারা চায় তাবলিগ ও দীনি কাজ চলুন প্রশ্নহীন ভাবে। ইখলাস পরিপন্থী কিছু যেন এ কাজে না প্রবেশ করে।
আরএম