বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫ ।। ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৮ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
আজ লালবাগে ইসলামী ঐক্যজোটের সাথে সমমনা ইসলামী দলসমুহের বৈঠক দারুল আরকাম মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ! শিক্ষক সমিতির শোক প্রকাশ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, চান্দিনা উপজেলা শাখার কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত ৷ চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত শহীদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন ইসলামী আন্দোলন কর্মী মাসরুর যুব জমিয়তের সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা এবার দেশের মানুষ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় চায়: পীর সাহেব চরমোনাই ট্রাম্পের হুমকিতে নতি স্বীকার করবেন না মামদানি ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ বলেনি হামাস  ‘জুলাই শহীদ’ স্বীকৃতি পাচ্ছেন রোহিঙ্গা যুবক নূর মোস্তফা

আলেমদের মিডিয়ায় পদচারণা অপরিহার্য!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাওহিদ আদনান
ভারত থেকে

হিন্দুস্তানে উর্দু-হিন্দি সব পত্রিকার মাঠই গরম৷ দেদারছে চলে সকল পত্রিকাই৷  উর্দু দৈনিকগুলো মুসলমানদের দখলে৷ যদিও কিছু কিছু শিয়া বা বেদআতী৷ তবুও মুসলমানদের আধিপত্য আছে উর্দু পত্রিকাগুলোতে৷ কম-বেশি ৫০ থেকে ৬০টা জাতীয় উর্দু দৈনিক রয়েছে হিন্দুস্তানে৷ আজকে প্রায় ২৯টি পত্রিকায় নজর বুলিয়েছি৷ হিন্দুস্তানের চলমান পরিস্থির খবর-আখবার জানার জন্য৷

বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতায় আলোকিতজনেরা

অধিকাংশে পত্রিকাতেই একটি খবর একই ধরণের শিরোনামে এসেছে৷ খবরটা হলো কলকাতার৷ কলকাতায় গতকাল বিজেপি হরতাল ডেকেছিল৷ হরতালের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি সেখানে৷ খবরটি উর্দু দৈনিকগুলোতে এসেছে প্রায় একই ধরণের শিরোনামে৷ সবগুলো শিরোনামই এরকম ছিলো যে, কলকাতায় বিজেপির হরতালের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি গতকাল৷

পক্ষান্তরে দুইটা হিন্দি পত্রিকাও পড়েছি আজ৷ হিন্দি পত্রিকায় কলকাতার হরতালের বিষয়ে শিরনামটা ছিলো এমন, কলকাতায় বিজেপির শক্তি প্রদর্শন; বিজেপির ডাকে পালিত হলো দিনভর হরতাল কর্মসূচি৷

আপনার ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক

নিউজগুলো বারবার পড়েছি আর ভেবেছি হিন্দুস্তানের মিডিয়া কতটা স্বাধীন৷ যদিও বর্ণিত বিষয়টা একদম স্বাভাবিক৷ তবুও অন্যান্য আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও দেখেছি হিন্দুস্তানী মিডিয়ার স্বাধীনতা৷ যেমন গতকালের ঘটনা, ইউপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ব্যাপারে একটি নিউজ এসেছে অনেক দৈনিকে৷ স্বাধীনভাবে তার বিরুদ্ধে কলাম ও নিউজ ছেপেছে পত্রিকাগুলো৷

হিন্দি পত্রিকাগুলোতে হিন্দুস্তানে মুসলমানদের বিলকুলই দখল নেই৷ তাই গাইরে মুসলিমরা তাদের মতো করে সাজায় তাদের পত্রিকা৷

বিষয়গুলো নিয়ে বারবার ভাবছি৷ হিন্দুস্তানে বিষয়টি মুসলিম ও অমুসলিমের হলেও আমাদের দেশে বিষয়টি আলেম ও গাইরে আলেমের ৷ কারণ আমাদের দেশে গাইরে আলেমদের মাঝে ইসলামের কল্যাণকামীতা নেই ৯০ ভাগের মানুষেরই৷ বাকী যাদের আছে তারাও কোণঠাসা অন্যের দ্বারা৷

কওমি সনদের স্বীকৃতি: তসলিমারা কেন ভীত?

চিন্তার বিষয়, আমাদের দেশের কী করুণ দশা! মিডিয়াতে আলেমদের দখল নেই বললেই চলে৷ যাও আছে তা বাকশক্তিহীন প্রায়৷ বাকশক্তিহীন হওয়ার কারণ হলো রাষ্ট্রব্যাপস্থাপনার অস্বচ্ছতা৷ তবুও বাকশক্তিহীন হলেও মিডিয়া দখলে নেয়ার যে কতটা প্রয়োজন তা নতুন করে বলার মতো কোনো বিষয় নয়৷

মিডিয়া আমাদের দখলে না থাকায় বামরা নিজেদের মতো করে নিউজ সাজায়৷ মিথ্যার আশ্রয় নেয় না৷ কিন্তু সত্যটাকেই নেগেটিভ বানিয়ে ফেলে৷ নেগেটিভকে পজেটিভ বানিয়ে ফেলে৷ তাই মনে করি আলমদের মিডিয়ায় পদচারণা অপরিহার্য বর্তমান সময়ে৷ এখনও সময় আছে আলেমদের উদ্যোগী হওয়ার!

কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন 

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ