রবিবার, ০৫ মে ২০২৪ ।। ২১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫


সমকামিতা নিয়ে ভারত সরকারকে আরও ভাবার অনুরোধ দুই শীর্ষ আলেমের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম আল্লামা আবুল কাসেম নোমানি ও অল ইন্ডিয়া পারসোনাল ল এর জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানি সম্প্রতি ভারতে বৈধ হওয়া সমকামিতা সম্পর্কে কথা বলেছেন।

সমকামীদের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুফাতি নোমান কাসেমি বলেছেন, সব ধর্মেই সমকামিতার মত যৌনতা সমাজিকভাবে ও ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ।

নৈতিকতার দিকে লক্ষ্য করে সমকামিতা অবাঞ্ছিত ও অগ্রহণযোগ্য। ইসলাম এটি নিবিড়ভাবে নিষিদ্ধ করেছেন, কঠিন গোনাহের বলেও সাব্যস্থ করেছেন।

তিনি বলেন, আদালতের এ সিদ্ধান্তে আমরা এখনই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না কারণ এ সিদ্ধান্তের কোনো কাগজপত্র আমাদের কাছে নেই।

তবে যতটা খবর জেনেছি, ধারণা করা যায় এটি অনেক আগের সমাজের মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণ্য হলেও বৈধ ছিলো। তখনকার এ বিষয়টিকে বিবেচনায় এনে যদি বর্তমান সমাজের জন্য বৈধ করা হয় তাহলে তা হবে জঘন্য ও বেদনাদায়ক।

মুফতি নোমানি আরো বলেন, ভারতীয়দের জন্য  উপযুক্ত ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের আইনি প্রক্রিয়ায় এটি যদি বৈধ করা হয় থাকে তাহলে তা খুবই দুঃখজনক।

আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন

মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রাহমানি সুপ্রিম কোর্টের আইন ৩৭৭-এর রায়ের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমরা এ ধরনেরর যৌনতাকে বৈধতা দেয়ার বিরোধিতা করছি।

কারণ এ ধরনের যৌনতা যেমন ইসলাম হারাম করেছে ঠিক তেমনেই এটি মানুষের জন্য সব সময় ক্ষতিকর। তাছাড়া চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও তা সংক্রামক মরণব্যাধী রোগ তৈরি করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

এগুলো ছাড়াও এ জঘন্য সম্পর্ককে বৈধতা দিলে সমাজে বিয়ের মত বৈধ নৈতিকতা সম্পন্ন সম্পর্কগুলো কমে যাবে। সমাজে এর কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্থ হবে নারীসমাজ। আমাদের দেশে অবিবাহিত নারীদের সংখ্যা ইতিমধ্যে বাড়ছে। এ আইনের বৈধতার কারনে আরো বাড়বে এ সংখ্যা। তাই সমাজের নেতিবাচক প্রভাবের দিকে তাকিয়ে হলেও এ ধরনের আইন থেকে বিরত থাকা দরকার।

ভারত এমন একটি দেশ যেখানে বিভিন্ন ধর্মের বিভিন্ন প্রজাতির মানুষ বসবাস করে। প্রতিটি মানুষ চায় ভালোভাবে জীবন যাপন করতে। মূলত ধর্মের নৈতিক শিক্ষা মধ্যে যৌনতা নিষিদ্ধ। কারণ কিছু লোক যারা দেশের প্রভাবশালী জনসংখ্যা দেখতে আকাঙ্খা  করে তারা এ ধরনের আইন প্রনয়ন করে দেশকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে চায়।

তাই এই ধরনের একটি সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কর্তব্য। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন আইন মানানসই নয়।

তাছাড়া কোনো একটি জাতির ওপর নির্ভর করে একটি আইন প্রনয়ন করাও উচিত নয়। আমরা চাই সরকার গণতন্ত্র রক্ষার এ লড়াইয়ে এ ধরনের সিন্ধান্ত আরো চিন্তা করে নিবে বলে আমরা আশাবাদি।

বাসিরাত অনলাইন থেকে আবদুল্লাহ  তামিমের অনুবাদ 

মানববন্ধন থেকে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আটক


সম্পর্কিত খবর