বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’ মালয়েশিয়ার সিটি ইউনিভার্সিটিতে সম্পন্ন হলো বিয়াম'র চ্যাপ্টার কমিটি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জ্যামাইকার আগামীদিনে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম স্মার্ট হবে দেশের হজ ব্যবস্থাপনা: ধর্মমন্ত্রী সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি চাঁদ মামার বয়স হয়েছে! চাঁদের বয়স কত? বিশেষ ট্রেনের ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ বাড়তে পারে তাপমাত্রা, দুপুরের মধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির আভাস

কাকরাইল মারকাজে নেজামুদ্দিন অনুসারীদের অবস্থান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: তাবলিগ জামাতের মারকাজ নিয়ন্ত্রণে নিতে নেজামুদ্দিনের অনুসারীরা কাকরাইল মসজিদের সামনে জড়ো হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই এ অবস্থা চলমান। এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তাতে কয়েকজন আহতও হন বলে জানা যায়।

কাকরাইলের একাধিক সূত্র বলছে, শনিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মাওলানা সাদ ও নেজামুদ্দিনের অনুসারীরা কাকরাইল মারকাজে প্রবেশ করতে চাইলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।

তবে ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে বলে জানা যায়।

সূত্র জানায়, কাকরাইল মারকাজের দুইজন জিম্মাদার মাওলানা মুনীর বিন ইউসুফ ও মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ এবার হজ পালনে সৌদি গিয়েছিলেন। সেখানে থেকে গতকাল ফেরার পর মারকাজে গেলে বাধার সম্মুখিন হন।

কাকরাইলে অবস্থানকারী মুকিমরা জানান, হজ থেকে ফিরে মূলত ওই দুই সাথী কাকরাইল দখলের চেষ্টা করেন। তারা হজের সফরে এ পরিকল্পনা করেন।

তারা জানান, এ বছর নেজামুদ্দিনপন্থী অনেকেই হজে যান। নেজামুদ্দিনের মাওলানা সাদ কান্ধলভী ও কাকরাইল শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামও এবার হজ সফরে ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুকিম জানান, গতকাল মাওলানা মুনীর বিন ইউসুফ ও মুহাম্মদুল্লাহ হজ থেকে ফিরে কাকরাইল মারকাজে ঢুকেন এশারের পর। এ সময় নেজামুদ্দিনপন্থী বহু সাথী কাকরাইলের গেটে অবস্থান নেয় মারকাজে প্রবেশের জন্য। তারা নানারকম স্লোগানও দেয় বাইরে।

মাওলানা মুনীর বিন ইউসুফ ও মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ মাস্তুরাত জামাতের জিম্মাদার।

বাইরে অবস্থান নেয়া অনেকেই বলেন, হজ থেকে ফেরা দুই সাথী কাকরাইলে ঢুকতে চাইলে তাদের প্রথম বাধা দেয়া হয়। এরপরই ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, বাইরে অবস্থানকারীরা ‘পাকিস্তানপন্থীদের হাতে তাবলিগকে থাকতে দেয়া যাবে না’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দেয়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, নেজামুদ্দিনপন্থীরা এখনো আশপাশের রাস্তা ও মসজিদে অবস্থান করছে। তারা কাকরাইলে থাকা মুরব্বিদের পাকিস্তানপন্থী উল্লেখ করে তাদের হঠানোর দাবি জানাচ্ছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাকরাইল মারকাজ মসজিদের বাইরে নেজামুদ্দিনের অনুসারী বহু লোক অবস্থান করছেন। তারা বলছেন, মাওলানা যোবায়ের সাহেবরা মারকাজ দখলে রেখেছেন। আমরা হাজার হাজার লোক রয়েছি নেজামুদ্দিনের অনুসারী। আমরা সবর করে যাচ্ছি।

মাদরাসার ছাত্ররা ভিডিও বার্তায় জানান, রাত ১ টার দিকে নেজামুদ্দিনপন্থী বহু লোক জড়ো হয় মারকাজের সামনে। তারা মসজিদের ভেতরে থাকা তাবলিগের মুকিম ও মাদরাসার ছাত্রদের প্রতি গালিগালাজ করতে থাকেন।

তাদের দাবি, নেজামুদ্দিনপন্থীরা মাদরাসার ছাত্রদের মারার উদ্দেশ্যে জড়ো হয় যখন তারা ঘুমিয়ে ছিল।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নেজামুদ্দিনের অনুসারীরা সারাদেশে থাকা তাদের অনুসারীদের দ্রুত কাকরাইলে আসতে বলছেন। পাকিস্তানপন্থীদের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া যায় বলে বলেও উল্লেখ করছেন।

ভিডিওতে নেজুমুদ্দীনপন্থীদের আহ্বান করে বলা হচ্ছে, যারা যেখানে আছেন চলে আসুন। আজই ফয়সালা হবে।

উল্লেখ্য, শুরা পদ্ধতিতে তাবলিগ জামাতের প্রচলন থাকলেও মাওলানা সাদ কান্ধলভী নিজেকে আমির দাবি করলে তাবলিগ জামাদের চলমান এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।

এরপর দিল্লির নেজামুদ্দিনের দায়িত্বশীল মাওলানা সা’দ কান্দালভির বেশকিছু বিতর্কিত বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে দিন দিন পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। বক্তব্যগুলো থেকে ফিরে আসতে দারুল উলুম দেওবন্দসহ আলেম উলামাগণ তাকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি সেই রীতি মেনে রুজু করেননি।

তবে মাওলানা সাদ পন্থীদের দাবি তিনি সঠিক পন্থায়ই রুজু করেছেন এবং তা মানছে না আলেম উলামাগণ।

যদিও তিনি রুজুর পর পুনরায় একই ভুল করেন বলেও আলেমদের অভিযোগ। এভাবেই একসময় তাবলিগের মধ্যে দুটি ধারার সৃষ্টি হয়ে যায়।

সরকারের তরফ থেকে কয়েক দফায় সমঝোতার চেষ্টায় দু'পক্ষের মাঝে কিছু সময়ের জন্য অস্থিরতা কমলেও তা স্থায়ী হয়নি।

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ