জুনায়েদ হাবীব
আওয়ার ইসলাম
জাম্বুরী মাঠ এ মাঠটি চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মাঠ হিসিবে পরিচিত সবার কাছেই। নগরীর বানিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ মোড়ের ৫০ গজ পেছনে অবস্হিত এই মাঠ নিয়ে কোলাহল সবার। এক সময় কিশোরদের খেলায় মেতে উঠতো পুরো মাঠ প্রাঙ্গণ। সন্ধ্যায় পরিণত হতো ছিনতাইকারী আর মাদকাসক্তদের স্বর্গরাজ্যে। গা ছমছম করতো পথচারী আর রিকশারোহীদের।
সেই জাম্বুরি মাঠ এখন হাসছে। সুউচ্চ ভবন থেকে তাকালে মনে হবে একজন মানুষ দুইহাত তুলে নাচছে। মাত্র ১৮ কোটি টাকায় জাম্বুরি মাঠকে চট্টগ্রামের সেরা পার্কে পরিণত করেছে গণপূর্ত বিভাগ।
এখন সেই জাু্ম্বুরী মাঠ জাম্বুরী উদ্যানে রুপান্তরীত হয়েছে। যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য সুখবর। তবে এ পার্ক করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্থানীয়রা। আবার অনেকে ইতিমধ্যেই সাধুবাদ জানিয়েছে।
জাম্বুরী পার্কটি গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রণালয়নের নিজস্ব ১৮ কোটির ব্যায়বহুল অর্থায়নে সাড়ে ৮ একর জায়গা নিয়ে করা সুদৃশ্যা এই পার্কটিতে রয়েছে শারীরিক পরিচর্যা'র জন্য দুটি ওয়াকওকে ও তিন ফুট গভীর ২টি কৃত্রিম লেক ও পানির ফুয়ারা। রয়েছে ৪ টি গেইট সহ ৬ টি গণশৌচাগার। ও নানান বাহারী ফুলের সৌরভ।
আর রাত হলে ৫০০ এলইডি লাইটের সোভা পাবে পার্কটি।
জাম্বুরী পার্কটি আগামী ৮ সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা থাকলে ও দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেয় গণপূর্ত বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ কৃত্রিম লেকটিতে সাঁতার কাটছে কেউ বা প্রিয়জনদের সাথে আড্ডায় মগ্ন। আর এই সুন্দর মুহুর্তটি কে ক্যামেরা বন্দি করছে অনেকেই।
জাম্বুরী পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আব্দুল আজিজ বলেন, পার্কটি অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। তবে উদ্বোধনের আগেই পার্কটি নোংরা করে ফেলছি আমরা। এর কারণ পার্ক কর্তৃপক্ষের সচেতনতার অভাব।
বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের উদ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পার্কটিতে উদ্বোধনের আগেই প্রচুর আবর্জনা ফেলছেন দর্শনার্থীরা। যা পরিষ্কার করতে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের হিমশীম খেতে হচ্ছে।
পার্কটি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রি ইন্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
পার্কে ঘুরতে আসা শোভন চক্রবর্তী আওয়ার ইসলাম কে বলেন, আগে বদ্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতে জাম্বরী মাঠে সবসময় অাসা হতো কিন্তু এখন এটিকে পার্ক করে ফেলল যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য দুঃখ্যজনক এভাবে একটি মাঠকে পার্ক করা উচিৎ হয়নি বলে আমি মনে করি।
পার্কটিতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য একটি ঠিকাদারী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের ৫ জন কর্মী ও সম্পুর্ণ সিটিটিভি'র নিয়ণ্ত্রণে রয়েছে।
এ ব্যাপারে দশনার্থীদের একটি দাবী সুন্দর এই পার্কটি যেন চট্টগ্রামের অন্য পার্কগুলোর মতো ময়লা আবর্জনা বা অবহেলার শিকার না হয়।
আরএম/