শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

ট্রেন কিংবা বাসে বমি থেকে বাঁচার ১০ উপায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তামিম আহমেদ: ঈদের ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। প্রিয়জনের সাথে ঈদ উদযাপনের আনন্দে বড়ির পথে ভ্রমণও হয়ে উঠে আনন্দময়। কিন্তু মূহুর্তেই সে আনন্দ মাটি করে দিতে পারে বমি কিংবা বমির প্রবণতা।অনেকেরই গাড়িতে বা বাসে ভ্রমণ করলে বমি হয় কিংবা বমির ভাব হয়।

এই সমস্যার শুরু মস্তিষ্কে। যখন কেউ গতিশীল কোনো যানবাহনে থাকে, কিন্তু মস্তিষ্ক বিষয়টি বুঝতে পারে না, তখনই সমস্যাটা হয়। এর কারণ চোখ, কান এবং দেহের সমন্বয়হীনতা। আর তখনই মস্তিষ্কের উপরে বাড়তি চাপ পড়ার কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

প্রতিকার

১. ভ্রমণের আগে অতিরিক্ত তেল বা মশলাযুক্ত কোনো কিছু খাবেন না।

২. চেষ্টা করবেন কোনো শক্ত খাবার না খেতে। তরল খাবার খেলে সমস্যা কম হয়।

৩. বাস, ট্রেন বা লঞ্চে শুকানো আদার গুড়া পাওয়া যায়। এটিও সারাক্ষণ চিবাতে পারেন বমি বমি ভাব এড়ানোর জন্য।

৪. ভ্রমণপথে এই ধরণের বমি বমি ভাব রোধ করার কিছু ওষুধ পাওয়া যায়। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এই ওষুধ খেয়ে নেয়া যেতে পারে ভ্রমণের আগে।

৫. যাত্রা শুরু করার আগে ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার, কোমল পানীয় বা চিপস ইত্যাদি খাবেন না। যারা বমির সমস্যায় ভোগেন তারা প্রয়োজনে হালকা কিছু খেয়ে বাহনে উঠুন। যাত্রাপথে ভারী খাবার পরিহার করাই ভালো।

৬. অতিরিক্ত ঘ্রাণ বা সুগন্ধযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ভ্রমণের সময় সাথে বিশুদ্ধ খাবার পানি রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। দারুচিনি, লবঙ্গ ও টক জাতীয় খাবার বমিভাব দূর করে। যাত্রাপথে এগুলো সাথে রাখতে পারেন।

৭. ট্রেন, বাস বা গাড়ি যেদিক মুখ করে সামনে এগুচ্ছে তার উলটো দিক ফিরে কখনোই বসবেন না। এতে বমিভাব আরো প্রবল হয়। বাহন যেদিকে এগুচ্ছেন সেদিক মুখ করে বসুন।

৮. বাসে কিংবা গাড়িতে পেছনের দিকের সিটে বসার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। পেছনের দিকে সিটে ঝাঁকুনি বেশি লাগে যা অনেক সময় বমির কারন হয়ে দাঁড়ায়।

৯. চলন্ত অবস্থায় বই পড়া, মোবাইলে গেম খেলা বা নেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

১০. যাত্রাপথে অন্য যাত্রীকে বমি করতে দেখে অনেকের বমি হতে পারে। তাই যাত্রীদের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে অন্য দিকে মনোযোগ দিন। এক্ষেত্রে জানালার পাশে বসে বাইরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।

যাত্রাপথে বমির প্রধান কারন মোশন সিকনেস। গতি জড়তার ফলে মস্তিষ্কে সমন্বয়হীনতার কারণে এটি হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন- পেঁপে খাওয়ার ৬টি উপকারিতা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ