মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ।। ৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ৯ রমজান ১৪৪৫

শিরোনাম :

পবিত্র কাবা শরীফের ভেতরে কী আছে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ, আওয়ার ইসলাম : পবিত্র কাবা ঘর বড় ঘন আকৃতির ইমারত, সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। আসলে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে। পবিত্র কাব আল্লাহর ঘর। এজন্য কাবাকে নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক কৌতুহল রয়েছে। কাবার বাইরের অংশের কিছু তথ্য জানলেও কাবার ভেতরের অংশে কী কী রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি না।

 

ইয়াসির আহমেদ নামের এক মুসলিমের কাবা শরিফে প্রবেশ করার সৌভাগ্য হয়েছিলো। তিনি  ইনস্টগ্রাম অ্যাকাউন্টে নিজের তোলা কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। চলুন, কাবার ভেতরে কী কী আছে-সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

 

inside kaba 3

ছবিতে কাবার ভেতরের এই সিন্দুকে উন্নত মানের সুরভি, কাবাঘর মোছার জন্য কয়েকটি মখমল তোয়ালে রাখা আছে। বিভিন্ন যুগের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী কয়েকটি মশাল ও পিদিম রয়েছে, যেগুলো বিভিন্ন রাজা-বাদশাহ পবিত্র কাবার জন্য উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন।

 

inner door kaba

কাবার ভেতরে ডান পাশে একটি সোনার দরজা আছে। এই দরজার নাম ‘বাবুত তাওবা’। কাবার ছাদে ওঠার জন্য এটি দিয়ে কাবার সিঁড়ির দিকে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

 

inside kaba 2

কাবা ঘর নির্মাণের একটি ফলক এখানে দেখা যাচ্ছে। শিলালিপিটিতে লেখা আছে-  আল্লাহর নামে শুরু,  সমস্ত প্রশংসা করুণাময় আল্লাহর জন্য। যিনি উভয় জাহানের প্রতিপালক, শান্তি বর্ষিত হোক পয়গম্বরগণের উপর, আমাদের নেতা মুহাম্মদ সা. ও তার পরিবারের উপর এবং তার সব সঙ্গীর উপর।

 

inside kaba

দেয়ালের ওপরের অংশে সাঁটানো সবুজ রেশমি কাপড় রয়েছে। তাতে কোরআনের বিভিন্ন আয়াত স্বর্ণখচিত করে অঙ্কিত।

 

place of prophets prayer 2

মেঝেতে চিহ্নিত করা সঠিক অবস্থানটি দেখায যাচ্ছে। সেখানে নবি মুহাম্মদ সা.  নামাজ পড়তেন।

 

prophets place of prayer

প্রাচিরে মার্বেল পাথরের জায়গাটিতে হযরত মুহাম্মদ সা. ইবাদত করতেন।

lamps in kaba

কাবার মাঝখানের জায়গাটিতে উপরে দুই স্তম্ভের মাঝে লণ্ঠন ঝুলানো রয়েছে। এছাড়াও, কাবার ছাদবাহী তিনটি করে কাঠের স্তম্ভ ও বিম রয়েছে। কাবার মেঝে ও দেয়াল মার্বেল পাথরে মোজাইককৃত। এ ছাড়া মর্মর পাথরের তিনটি ফলক রয়েছে। একটি দরজার ডান পাশে পূর্ব দেয়ালে, দ্বিতীয়টি উত্তর পাশের দেয়ালে, তৃতীয়টি পশ্চিম পাশের দেয়ালে।
আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ