আবদুল্লাহ তামিম: চলছে হজের মাস। মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ মাস। কারণ এ মাসেই ইসলামের পাঁচ রোকনের একটি হজ আদায় করা হয়।
প্রতিবছরের মত এ বছরও হজ আদায় করতে প্রায় এক কোটি মুসলিম সৌদি আরবে গিয়েছেন। ২০ আগস্ট, ৯ জিলহজ সোমবার পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর আরাফার ময়দানে হজের খুতবা দিবেন মসজিদে নববির সম্মানিত ইমাম ও খতিব, মদিনা শহরের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি শায়খ ড. হুসাইন আলুশ শায়খ।
সৌদি আরবের প্রেস এজেন্সি এএসপির বরাতে জানা যায়, হারামাইন শরিফাইনের খাদেম বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ গতকাল শায়খ হুসাইনকে রাজকীয় ডিক্রির মাধ্যমে এ বছর আরাফার ময়দানের খতিব নিয়োগ করেন।
বনি তামিম গোত্রের শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাবের বংশধর শায়খ ড. হুসাইন ইবনে আব্দুল আজিজ ইবনে হাসান ইবনে আবদুল আজিজ ইবনে হুসাইন আল শেখ।
শায়খ ড. হুসাইন আলুশ শায়খ ছোট বেলা থেকেই লেখা-পড়া শুরু করেন। মাধ্যমিকে পড়াশোনার জন্য তিনি আশ শরইয়া কলেজে ভর্তি হোন। সেখান থেকে তিনি স্টার্কমার্ক পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
এর পর ডিগ্রী অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে প্রথমস্থান অধিকার করেন। ইসলামিক আইন অনুষদের ওপর গুরুত্বপূর্ণ একটি থিসিস লিখে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন তিনি।
তিনি একধারে সামাজকর্ম ও আইনশাস্ত্র, ইসলামিক আইন অনুষদে সমানভাবে ডিগ্রী অর্জন করেন।
এছাড়াও তিনি আরবের অনেক বড় বড় শায়খ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন। আশ শায়খ ফাহদুল হামিদ থেকে ইমান ও আকিদা সম্পর্কে শিক্ষাও গ্রহণ করেন।
হাদিস শাস্ত্র শিক্ষাগ্রহণ করেন শায়খ আবদুল্লাহ জিবারান থেকে। ফিকহ শায়খ আবদুল আজিজ দাওয়াদ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। এছাড়াও মাযহাব বিষয়ে শিক্ষা অর্জন করেন শায়খ আব্দুল আজিজ বিন বাজ থেকে।
তিনি ১৪০৬ হিজরিতে মদিনার বিচার বিভাগীয় সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন। তারপর নাজরানের হাই কোর্টে ১৪১১ হিজরিতে যোগদান করেন।
১৪১২ হিজরিতে যোগ দান করেন মদিনার সুপ্রীমকোর্টে। এখনো তিনি সেখানেই কর্মরত আছেন। ১৪১৮ হিজিরিতে তিনি মদিনার মসজিদে নববিতে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান।
এখনো তিনি এ দু’টো বড় বড় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাকে বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
তুরস্ক সংকটে এরদোগানের পাশে ইমরান খান
সংকটে কাতারকে এগিয়ে নিচ্ছে গরুর খামার
-আরআর