শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র সংকট কি সমাধানের পথে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম

সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দুই বছর ধরে তুরস্কে আটক মার্কিন নাগরিক খ্রিস্টান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনের আটক অবস্থাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একে কেন্দ্র করে গত ১ আগস্ট তুরস্কের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু এবং আইনমন্ত্রী আবদুলহামিত গুল-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনকে মুক্তি না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তুরস্কের উল্লিখিত দুই মন্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। আমেরিকায় তাদের কোনো সম্পদ গচ্ছিত থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।

তুরস্কের দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। তিনি বলেছেন, তুরস্কে আমেরিকার আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্পদ জব্দ করা হবে।

পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞা এটাই প্রথম। ন্যাটোর মিত্র এ দুই দেশের মধ্যে এ বিরোধকে বিশ্লেষকরা সবচেয়ে বেশী উত্তেজনাপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক টানাপোড়েন হিসেবে দেখছেন। এর আগে ১৯৭৪ সালে তুরস্কের সাইপ্রাসে হামলা চালানোকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।

এদিকে, চলমান এই পরিস্থিতির মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র সাথে ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। ফোনালাপে উভয় দেশের সম্পর্ক, অমীমাংসিত নানা বিষয়ের সমাধানে উভয় পক্ষের অবস্থান বা মতামত নিয়ে কথা বলেন দুই নেতা।

এদিকে বিদ্যমান উত্তেজনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান তুরস্কের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদাত ওনাল। সফরে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুই দেশের অমীমাংসিত নানা বিষয়ে কথা বলবেন তিনি।

সেই উদ্দেশ্যেই বুধবার সেদাত ওনাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে  বৈঠক করেছেন। তিনি মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক করেন।

সংকট সমাধানে সম্মত তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র

যদিও সাদাৎ ওনাল এ সফরের আগে ও পরে সাংবাদিকদের কিছু বলেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে চলমান টানাপোড়নে ভাটা পড়বে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি এপি জানায়, এ দুই কর্মকর্তা যাজক ব্রনসনসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তুরস্কের হুরিয়াত ডেইলি জানায়, সংকট সমাধানে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে উভয় দেশ। বুধবার ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে হওয়া আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: হাফেজদের জন্য আরবী ভাষাশিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে তুরস্ক

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ