আওয়ার ইসলাম: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা গায়েবের পর এবার মধ্যপাড়া খনি থেকে গায়েব হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার টন মূল্যবান পাথর। এ পাথরের মধ্যে রয়েছে মূল্যবান অ্যামেলগেমেট গ্রানাইট পাথর ও শিলা। গায়েব হওয়া পাথরের মূল্য ৫৬ কোটি টাকা।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (এমজিএমসিএল) থেকে এ পাথর গায়েবের অভিযোগ উঠেছে। ২৯ জুলাই কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ সভায় পাথর গায়েবের এ তথ্য ফাঁস হয়।
জানা গেছে, মধ্যপাড়া খনি উন্নয়নকালীন পর্বসহ ২০০৭ সালের ২৫ মে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার পর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত পাথর উত্তোলন করা হয়েছে ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৫ মেট্রিক টন।
এমজিএমসিএল বোর্ড মিটিংয়ে উত্থাপিত ওই রিপোর্টে ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর থেকে ২০১২-২০১৩ অর্থবছর পর্যন্ত পরিমাপগত ক্রটি ও সিস্টেম লস দেখানো হয় দুই লাখ ২৭ হাজার ২৩৩ মেট্রিক টন পাথর। এছাড়া ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এক লাখ ছয় হাজার ৪৮৬ মেট্রিক টন পাথর খনি ইয়ার্ডে মাটির নিচে দেবে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
খনি কর্তৃপক্ষ হদিস না মেলা ওই তিন লাখ ৫৯ হাজার ৮১৬.৮৯ টন পাথরের মূল্য বাবদ ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৮ টাকা অবলোপন করার জন্য এমজিএমসিএল বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।
এমজিএমসিএল’র দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, মধ্যপাড়া খনির পাথরের পরিমাপগত ক্রটি, সিস্টেম লস বা পদ্ধতিগত লোকসান ও মাটির নিচে দেবে যাওয়ার বিষয়ে এমজিএমসিএল বোর্ড এবং পেট্রোবাংলাকে সময়ে সময়ে জানানো হয়েছে। এরপরও এতোদিনে বিষয়টি সমন্বয় বা অবলোপন না করা দুঃখজনক।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) জাবেদ চৌধুরী বলেন, গত ২৯ জুলাই এমজিএমসিএল বোর্ড মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করার পর আমি জেনেছি। বিস্তারিত কিছু জানি না। কাগজপত্র না দেখে কিছু বলতেও পারছি না।
আরও পড়ুন: কয়লা লোপাটের অভিযোগে ২১ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
আরএম/