আওয়ার ইসলাম: জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে সড়কে অব্যাহত হত্যা প্রতিবাদে মানববন্ধন করে চলমান নিরাপদ সড়কে আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবী মেনে নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানান তারা।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, রাস্তায় হিংস্র প্রাণীর মত বেপরোয়া গাড়ি চাপায় মানুষকে মেরে ফেলা হয়, আর মন্ত্রী মশাই হাসে এটা বাংলাদেশের মত একটা অকার্যকর রাষ্ট্রেই সম্ভব। আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার পাঁচদশকে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর পরিবেশটাও পাইনি।
তিনি আরো বলেন, সরকার পরিবহন মালিক শ্রমিক ও ড্রাইভারদের কোন প্রকার নিয়ম শৃংখলায় আনতে পারছে না। সরকারের অযোগ্যতা ও পুলিশ প্রশাসনের সীমাহীন দুর্নীতির খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের। মালিক, শ্রমিক, চালকদের নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে সরকার এদের দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে।
খোদ মন্ত্রী এমপি পদস্থ কর্মকর্তা ও পুলিশ সড়ক নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করেন না। ভিআইপি মর্যাদায় ফাঁকা রাস্তায় এসি গাড়িতে চড়ে বেড়ান মন্ত্রী এমপি ও পদস্থরা। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের গাড়ির চাকা ঘোরে।
উক্ত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শেখ মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল এম. হাছিবুল ইসলাম।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর পূর্বের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মাহদি হাসান-এর সঞ্চালনায় ও ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতির মুহাম্মাদ দেলোয়ার হোসাইন-এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক জি.এম. বায়েজীদ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য এম.এম. শোয়াইব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমিন সিদ্দিকীসহ ও অন্যান্য নগর নেতৃবৃন্দ।
বক্তাগণ নিরাপদ যাতায়াতের জন্য কঠোর নীতিমালা ও পর্যাপ্ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।
মিম ও করিমের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী