রকিব মহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
হজের মৌসুমে পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফকে মাটি থেকে কিছুটা উঁচুতে উঠিয়ে রাখা হয়। চলতি বছরও সেই ধারাবাহিকতা কাবা শরীফের গিলাফ নিচের দিক থেকে ৩মিটার পর্যন্ত উঁচু করে দেয়া হয়েছে ।
পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ ‘কিসওয়া’ তৈরির কারখানার একজন পরিচালক কাবা শরিফের গিলাফ উঁচু করার কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। খবর আরব নিউজ-এর।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাম্ভাব্য ক্ষতি এড়ানোর জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ, অনেক হজপালনকারী পবিত্র কাবা ঘরের গিলাফ স্পর্শ করার আগ্রহ পোষণ করেন।
অনেকে বরকত মনে করে কাবার গিলাফের কিছু অংশ কেটে নেন। আবার অনেক হজযাত্রী কষ্ট করে হলেও ভীড় ঠেলে জীবন বিপন্ন করে গিলাফ স্পর্শ করে দোয়া-দরুদ পাঠ করার চেষ্টা করেন। ফলে অনেকের জন্য তাওয়াফ করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে।
তাই হজ মৌসুমে গিলাফটি তিন মিটার পর্যন্ত উপরে তুলে দেওয়া হয়, যেন কেউ তা স্পর্শ করার চেষ্টা না করে।
যদিও কাবার গিলাফ স্পর্শ করা বা এটা ধরে দোয়া-মোনাজাত করার আলাদা কোনো ফজিলত নেই। তার পরও দেখা যায়, অনেক হজযাত্রী কাবাঘরের দেয়াল স্পর্শ করতে এমনকি তাতে নিজের রুমাল, জামা কাপড় স্পর্শ করাতে। যদিও ধর্মীয় চিন্তাবিদরা এমন কাজ করা থেকে মানুষকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এটা গিলাফের মূল অবয়ব রক্ষা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য করা হয়। কাবার গিলাফটি মাটির দিক অর্থাৎ নীচের দিক থেকে তিন মিটার উঁচু পর্যন্ত ভাঁজ করে রাখা হয়। ভাঁজ করা অংশটুকু সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
অবশ্য ৯ জিলহজ আরাফার দিন (হজের দিন) পুরনো এই গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ লাগানো হবে।
পবিত্র কাবাঘরের গিলাফকে কিসওয়া বলা হয়। কিসওয়া তৈরির কারখানা মক্কা শরিফের উম্মুল জুদ এলাকায় অবস্থিত। সূত্র: আরব নিউজ।
ভিডিওতে দেখুন...
কাবার মুসাফির শায়েখরা পাবেন বাংলাদেশী লেখকের বই
আরএম/