আওয়ার ইসলাম: ভারতের হুগলিতে ১৮১৭ সালে হাজী মুহাম্মদ মুহসিন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মাদরাসাটি। সেই মাদরাসায় পড়ালেখা করেছেন সৈয়দ আমির আলী, ফুরফুরার পীর আবু বক্কর সিদ্দিকীসহ অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি। মাদরাসাটিতে পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হত।
মাদরাসা শিক্ষা দফতরের অধীনে পশ্চিমবঙ্গে ৪৪টি মাদরাসা রয়েছে। আর মাদরাসা পর্ষদের আওতায় রয়েছে ৬১৪টি মাদরাসা ।
হাজী মুহসিনের হুগলি রয়েছে টি দীর্ঘদিন শিক্ষা দফতরের অধীনেই ছিল। ২০০৮ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১২ সালে রয়েছে টি রয়েছে শিক্ষা দফতরের অধীনে আনা হয়।
এরপর সেখানে পড়ালেখার কার্যক্রম শুরু হলেও চলছিল খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। ২০০ বছরের পুরনো এই মাদরাসাটি নতুন করে শুরু করতে চাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এজন্য গত ২৫ জুলাই সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর ও মাদরাসা শিক্ষা দফতরের সচিব পিবি সেলিমকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পাঠান তিনি। কীভাবে এই পুরনো মাদরাসাকে স্বমহিমায় ফেরানো যায় সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে তাকে পাঠানো হয়।
সচিব পি বি সেলিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হুগলি মাদ্রাসা চালু করতে চাইছেন। সব কিছু ঘুরে দেখেছি। ২০০ বছরের পুরনো এই মাদরাসাকে চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।
মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ফুরফুরা শরিফের সঙ্গেও যুক্ত। তিনি জানান, ক্রমশ শিক্ষার্থী কমতে থাকে। এখন প্রায় বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী ৬১৪টি মাদরাসার উন্নয়ন করেছেন। এটার জন্য কিছু করবেন নিশ্চয়ই।
হাজীদের সেবায় নিয়োজিত একদল হাসিমুখ তরুণ
এসএস