সুলাইমান সাদী: হজের মৌসুমে একদল হাস্যোজ্জ্বল তরুণের পদচারণা লক্ষ করা যায় মক্কা-মদিনাসহ বিভিন্ন স্থানে। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োজিত এসব তরুণের থাকে নানা অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা।
সৌদি সরকার বিশেষভাবে মক্কায়, নিয়োগেচ্ছু স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকে। ছেলে-মেয়েসহ নানা শ্রেণির তরুণ সুযোগ পেতে ভীড় জমায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ পেতে। এটাকে তারা বিশেষ সৌভাগ্য হিসেবে দেখে।
এই তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদল হাজীদের সেবা করে আনন্দ পায়। সরকারী ও বেসরকারী বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহন হজ পরিচালনা সংস্থাগুলোকে বরাবরই আপ্লুত করে।
স্বেচ্ছাসেবায় নিবেদিত এসব তরুণের মুখে সবসময় লেগে থাকে হাসি। তারা হাজীদের সবরকম সেবায় এগিয়ে আসে। হাজীদের আমন্ত্রণ জানানো, তাদের স্বাগত জানিয়ে সফরের ক্লান্তি মুছে দেয়া, কোথায় কিভাবে কী করতে হবে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া ছাড়া সব রকম সেবা তারা দিয়ে থাকে।
স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের অভিমত, তারা এ সুযোগ লাভ করার মধ্য দিয়ে নানা দেশের নানা ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের সঙ্গে মিশতে পারে। অনেক কিছু শিখতে পারে। এতে তারা অনেক সমৃদ্ধ হয়।
এসব তরুণকে ‘মুতাওয়িফ’ বলা হয়ে থাকে। এরা একাজে খুবই স্বাচ্ছন্দবোধ করে। আল্লিলদিন মান্দিলি, আবদুর রহমান খাত্তানী ও নাফ সামসেসী নামের তিন যুবকের অনুভূতি এরকমই।
‘মুতাওয়িফি হুজ্জাজ’ সাউথ এশিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা তালাল আল কাসাস বলেন, হজ মৌসুমে স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করা তরুণদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারছে। অনেক কিছু শিখতে পারছে। বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে আসা এসব তরুণের মধ্যে নতুন একটি অভিজ্ঞতার জন্ম হয় এর মাধ্যমে।
তিনি তার এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে হজের মৌসুমে অনেকগুলো কর্মক্ষেত্র তৈরি করে থাকেন। তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে হাজীদের সেবায় নিবেদিত হতে উদ্বুদ্ধ করেন। হজের মৌসুমে যে কোনো চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকে এ তরুণতুর্কীরা।
সিভিল রেফারেন্স, রেড ক্রিসেন্ট, সৌদি স্কাউট, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য সেক্টরসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা প্রতি বছর স্বেচ্ছাসেবীদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করে থাকে একাজে। এসব তরুণের সেবায় প্রতি বছরই হজ উৎসব হয়ে ওঠে আরো প্রাণবন্ত। তারুণ্যের উচ্ছাসে দেখা যায় অন্যরকম পবিত্রতা!
সূত্র : আল আরাবিয়া
‘সব হাজী একসঙ্গে টাকা জমা দিলে রিপ্লেসমেন্ট কমতে পারে’