মইনউদ্দিন তাওহিদ
মোহাম্মদপুর থেকে
মারকাযুদ দাওয়া আল-ইসলামিয়া ঢাকা-এর আমিনুত তালিম এবং তাবলিগের পাঁচজন মুরুব্বি অন্যতম সদস্য মাওলানা আবদুল মালেক বলেন, মানুষের মুখে মুখে শোনা যায় তারা বলেন, ওলামায়ে কেরাম গীবত করেন। কিন্তু সবার জানা উচিৎ ওলামায়ে কেরাম যেটা বলেন সেটা গীবত নয়, তা হলো নসিহত। ওলামায়ে কেরামের এই নসিহতকে যারা গীবত বলছে, মূলত তারাই গীবত করছেন।
শনিবার (২৮ জুলাই) রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাবলিগ জমাতের সংকট নিরসনে আয়োজিত ওয়াজাহাতি জোড় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকে মাওলানা সাদকে আমীর মনে করেন। এক্ষেত্রে মূলনীতি হলো আমীর হওয়ার জন্য প্রয়োজন তামীর হওয়া অর্থাৎ আমীর বানানো। অথবা ওলামায়ে কেরাম তার হাতে ইমারতের বায়াত হওয়া। এক্ষেত্রে কেউ স্বঘোষিত আমীর হতে পারে না।
মাওলানা সাদ এর অনুসরণ করা ঠিক নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাওলানা সাদ কান্ধলভী নিজেকে স্বঘোষিত আমীর দাবী করেছেন। কিন্তু মাওলানা সাদ সাহেবের ক্ষেত্রে তামীর পাওয়া যায়নি এবং ওলামাদের বায়াতও পাওয়া যায়নি।
তার মধ্যে এ দুটা পাওয়া না যাওয়ায় তার আমীর হওয়া ফিকহী হাইছিয়াতে গলত। যখন তার আমীর হওয়াটাই গলত তখম তো ইতায়াতের প্রশ্নই আসে না।
জোড়ে জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপাল পীরে কামেল আল্লামা আশরাফ আলী, জামিয়া বারিধারার মুহতামিম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার মুহাতামিম আল্লামা আজহার আলী আনোয়ার শাহ, শাইখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, লালবাগ জামিয়ার মুহাদ্দিস মুফতি ফয়জুল্লাহ, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি, মুফতি এনামুল হকসহ বাংলাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম উপস্থিত রয়েছে।
এছাড়াও আল্লামা আহমদ শফী সম্মেলনে উপস্থিত হবেন এবং শেষ বয়ান রাখবেন।
আরও পড়ুন: ওলামায়ে কেরামের পদচারণায় মুখরিত মোহাম্মদপুর
-আরআর