আব্দুল্লাহ আফফান
পাঠক
বাংলাদেশে দিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে । জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে । পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে । এর প্রধান কারণ বায়ুদূষণ। ফলে বায়ুমন্ডলে সচ্ছ নির্মল বায়ুর পরিবর্তে জমা হচ্ছে দূষিত কালো ধোঁয়া ।
এটা যেমন বায়ুমন্ডলের জন্য ক্ষতিকর তেমনি আমাদের দেহের জন্যও ক্ষতিকর ।যেভাবে মানুষ , গাড়ি-ঘোড়া , কল-কারখানা বাড়ছে ,সেভাবে বাড়ছে না গাছ ।
এমন পরিস্থিতে আমরা মাদরাসার ছাত্ররা উদ্যোগ গ্রহন করতে পারি । বাংলাদেশে মোট প্রায় ২০ হাজার কওমি এবং হাজার হাজার আলিয়া মাদরাসা আছে। এসব মাদরাসার অধিকাংশ গ্রামে অবস্থিত ।
মাদরাসাগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমান খালি জায়গা , রয়েছে বিশাল বিশাল মাঠ । এ সমস্ত খালি জায়গা ও মাঠের চারপাশে লাগানো যেতে পারে ফলের গাছ বা কাঠের গাছ। মৌসুমী শাক-সবজি লাগানো যেতে পারে ।
এতে শাক-সবজি ,ফল বা কাঠ বিক্রি করে মাদরাসাগুলো আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে , তেমনি আমরা পেতে পারি নির্মল বায়ু এবং সুন্দর পরিবেশ।
মাদরাসার দুইপাশে লাগানো যেতে পারে হরেক রকমের পাতাবাহার বা ফুলগাছ ।মাদরাসার মসজিদের সামনে করতে পারি ছোট্ট বাগান। এতে মাদরাসার সৌর্ন্দয বৃদ্ধি পাবে।
শহরের মাদরাসাগুলোতে মাঠ না থাকলেও আছে বারান্দা , আছে ছাদ। টবে আমরা হরেক রকমের গাছ লাগাতে পারি। বারান্দায় রাখতে পারি চাইনিজ বাঁশ বা পাতাবাহার। ছাদে লাগাতে পারি ফলের গাছ। এতে করে মাদরাসার সৌর্ন্দয বৃদ্ধি পাবে।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করতে ইসলামে গাছ লাগানোর গুরুত্ব ও ফজিলত নিয়ে বিভিন্ন কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। বক্তৃতা অনুষ্ঠান আয়োজন করা যেতে পারে । করা যেতে পারে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি।
দেশের সকল কওমি ও আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন থাকবে, তারা যেন নিজেরা বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি আয়োজন করে। মাদরাসার আঙ্গিনায় গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে সুন্দর করে তোলে। সাথেসাথে এ ব্যাপারে জণসাধারনকে উৎসাহ প্রদান করে।
লেখক : শিক্ষার্থী, জামিয়া কারিমীয়া আরাবিয়া, রামপুরা, ঢাকা।
আরও পড়ুন: মাদরাসায় কুরবানির চামড়া সংগ্রহ; একটি বিকল্প প্রস্তাব