আবদুল্লাহ তামিম
অাওয়ার ইসলাম
রাসুল সা. এর আদর্শের মাঝেই মানব জীবনের সফলতা নিহিত রয়েছে। রয়েছে ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পাথেয়। তার প্রতিটি কাজ এবং কথার বাস্তবায়ন মানব জীবনে কল্যাণ বয়ে আনতে সক্ষম।
কেমন করে রাসুল সা. অতিবাহিত করেছেন তার জীবনের প্রতিটি দিন। দিনের ২৪টা ঘন্টা। সে অনুযায়ী চললে আমাদের জীবনে আসতে পারে সফলতা আর কামিয়াবী। রাসুল সা. দিনের পুরোটা অংশ যেভাবে কাটিয়েছেন তার বর্ণনা ওঠে এসেছে অাজকের লেখায়।
সকাল যেভাবে কাটাতেন
রাসুল সা. রাতে তাহাজজুতের নামাজের পরে ফজরের নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকতেন মসজিদে। ফজর শেষে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সূর্য ওঠা পর্যন্ত মসজিদে অপেক্ষা করে চাশতের নামাজ আদায় করতেন।
রাসুল সা. ফজরের পর পরই ঘুমাতেন না। কারণ সেই সময়টাতে আল্লাহ বান্দাদের রিযিক বন্টন করেন। ফজরের পরপর মসজিদে অবস্থানকালীন সাহাবাদের বিভিন্ন সমস্যা শুনতেন। তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন।
সূর্যোদয়ের পর
সূর্যোদয়ের পর, তিনি তাঁর বাড়িতে ফিরে আসতেন। দোয়া পড়তেন। ঘরে খাবার থাকলে তা খেতেন অন্যথায় মসজিদে নববিতে ফিরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন।
এরপর মদিনার সাধারণ মানুষ আসতেন রাসুল সা. এর সঙ্গে দেখা করতে। মদিনার মানুষ রাসুল সা. এর কাছে ভীড় জমাতো এ সময়। তিনি তাদের সাথে অনেক সময় কাটাতেন।
দুপুর
দুপুরে তিনি মসজিদে গিয়ে যোহর পড়েন। শুক্রবার হলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে খুতবা প্রদান করতেন। সাহাবীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতেন।
বিকেল
রাসুল সা. সাধারণত দুপুরের খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে মসজিদে যেতেন। আসরের পর তিনি বিবিদের কাছে গিয়ে প্রত্যেকের চাহিদা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। তাদের দিনটি কেমন কেটেছে তা জিজ্ঞেস করতেন। তাদের সঙ্গে সময় কাটাতেন।
সন্ধ্যা
রাসুল সা. মাগরিব নামাযের আগে দোয়া কবুল হওয়ার সময় দোয়া করতে মসজিদে উপস্থিত হতেন। আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহ তায়ালা এ সময় বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। তাই তিনি সাহাবাদেরও এ সময় দোয়া করতে বলেতেন। পরে মাগরিবের নামাজ আদায় করতেন।
রাত্র
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে এশার নামাজ পড়িয়ে খুব তাড়াতড়ি বিশ্রামে চলে যেতেন।
শেষ রাত
মধ্যরাত পর্যন্ত ঘুমাতেন। অতপর: জিকির ও তাহাজ্জুদ আদায়ে ফজর পর্যন্ত অতিবাহিত করতেন।
এমন করেই আমাদের নবি কারিম সা. তার প্রতিটি দিন অতিবাহিত করতেন। আল্লাহ আমাদের জীবনে আল্লাহর রাসুল সা. এর অাদর্শ বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন।
সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন
আরও পড়ুন- ২০১৮ সালের বিশ্বসেরা ১০ মুসলিম ব্যক্তিত্ব
আরএম-