আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়েই তার অপব্যবহার হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু আমাদের সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ায় এবার প্রশ্নফাঁস হয়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ২০১৮ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং ফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পাস করা শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার শিক্ষাখাতের উন্নয়নে সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ আমরা জানি দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত করতে হলে শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার বিকল্প নেই।
এসময় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষা না নেওয়ার নির্দেশ দেন সরকারপ্রধান।
এর আগে সকাল ১০ টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বক্তব্যের আগে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করবেন।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৭ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। একই সঙ্গে এবারই প্রথম পরীক্ষা অনুষ্ঠানের ৫৫ দিনের মাথায় পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হলো। এ বছর এইচএসসিতে ৬৬.৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন, যাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৯ হাজার ২৬২ জন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের ফল জানবেন যেভাবে