শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

দারুল উলুম দেওবন্দ সম্পর্কে সাইয়্যেদ আলী মিয়া নদভী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম

বিংশ শতাব্দীতে মুসলিম বিশ্বের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.। ইতিহাসবিদ, আরবি ভাষা বিজ্ঞানীর পাশপাশি সীরাত গবেষক হিসেবে আল্লামা সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.-এর খ্যাতি উপমহাদেশের ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে আরব, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার শিক্ষিত মহলে ছড়িয়ে পড়েছিল।

তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একজন স্বপ্নদ্রষ্টা ছিলেন৷ ইসলামিক সেন্টার জেনেভা, ইউ এস এ আরবী একাডেমি, লন্ডনের ইসলামিক সেন্টারসহ ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের তিনি প্রাণপুরুষ ছিলেন৷

ইউরোপের শ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টারের তিনি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান৷

এছাড়াও তিনি উম্মুল মাদারিস ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের আজীবন সভাপতি ছিলেন। ভারতের লৌখনো’র বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান নদওয়াতুল উলামার প্রধান পরিচালক ছিলেন ।

এরই সুবাদে দুনিয়াব্যাপী তার উল্লেখযোগ্য পদচারণা ছিল। তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন  দেশের ধর্ম, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ব্যাপারে তিনি গভীর পর্যবেক্ষণও করেছেন। সেই তিনি ভারতের ঐতিহ্যবাহী দীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলুম দেওবন্দ সম্পর্কে তার অভিব্যক্তি পেশ করেছেন।

দারুল উলুম দেওবন্দের শতবার্ষিকী আন্তর্জাতিক সম্মেলন প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণ করে  আবুল হাসান আলী নদভী রহ.বলেন, দারুল উলুম দেওবন্দ শুধু একটি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়; এটাকে ‘হিন্দুস্তানের জামেয়া আযহার’ বলা সম্পূর্ণ যথার্থ, বরং কিছু কিছু দিক বিবেচনায় এটি মিসরের ‘জামেয়া আযহার’ থেকেও অগ্রগামী- আকিদার পরিশুদ্ধি এবং কুরআন-সুন্নাহ প্রচারের ঐতিহ্যবাহী একটি মিশন হচ্ছে দারুল উলুম দেওবন্দ।

প্রকৃত অর্থে এটি ওয়ালিউল্লাহ বংশের সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডের একটি বর্ধিত ও ধারাবাহিক অংশ। বস্তুত এর মাধ্যমে সময় ও অবস্থার পরিবর্তন এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের পালাবদল ইত্যাদির পরও মুসলিম জাতির যেটুকু ধর্মীয় পুঁজি অবশিষ্ট- সেগুলোর সংরক্ষণ, এ জন্য বড় একটি মারকাজ প্রতিষ্ঠা ও প্রবৃদ্ধির কর্মকৌশল আর সৃষ্টিশীল ও সৃজনধর্মী কর্মপন্থার ময়দান সংকীর্ণ হয়ে যাওয়ায় (সাময়িকভাবে) আত্মরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণ করা হয়।

১৮৫৭ সনের ভয়াবহ পরিস্থিতি, কঠিন আন্দোলন এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব- এসব পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা না করে এ মিশনের মূল উপকরণ ও প্রতিপাদ্য বুঝা সম্ভব নয়।

(কারওয়ানে জিন্দেগি; আবুল হাসান আলি নদভী, ২/৩০০, মাকতাবায়ে ইসলাম, লাক্ষ্মৌ, তৃতীয় সংস্করণ ১৪২৬ হি./২০০৫ ই.)।

আরও পড়ুন :  সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১৫ তথ্য

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ