শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কুয়েট শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ  আইন করে ভারতে মুসলিমদের অধিকার হরণ করা যাবে না: জমিয়ত করাচি-চট্টগ্রাম রুটে নৌযান চলাচলকে স্বাগত জানিয়েছে দুই পক্ষ: পাকিস্তান ২৬ এপ্রিল জমিয়তের কাউন্সিল, প্রাধান্য পেতে পারে তরুণ নেতৃত্ব কওমি সনদ বাস্তবায়ন  করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব: ধর্ম উপদেষ্টা কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব: জামায়াত সেক্রেটারি গাজায় গণহত্যা ও ভারতে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে জমিয়তের বিক্ষোভ ইয়েমেনে মার্কিন হামলায় নিহত অন্তত ৩৮ ভারতীয় মুসলিমরা এখনই না জাগলে অধিকার নয়, পরিচয়ও হারাতে পারে হজযাত্রীদের সুবিধায় সরকারের যত উদ্যোগ

লন্ডনে প্রথম মসজিদ নির্মাণকারী হাজী মোহাম্মদ ডোলি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মিরাজ রহমান
তরুণ সাংবাদিক

হাজী মোহাম্মদ ডোলির পিতা ছিলেন একজন স্কটিশ এবং তার মাতা ছিলেন একজন মালায় আদিবাসী। তিনি ১৮৪৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে জন্মগ্রহণ করেন। কেপ টাউনে তিনিই সর্বপ্রথম হানাফি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮০ সালের দিকে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

আব্দুল্লাহ কুইলিয়ামের জীবনী পড়ার সময় আমি অবাক হই এটা শুনে যে ১৮৯৫ সালে লন্ডনের রিজেন্টস পার্কের সামনে প্রথম মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন আমার মনে প্রশ্ন জাগে, এই মসজিদের নির্মাতা কে?

প্রশ্নটি আমাকে লন্ডনের ভিক্টোরিয়ান মসজিদ এবং এর নির্মাতা হাজী মোহাম্মদ ডোলি’র পুরনো ইতিহাস ঘাঁটতে বাধ্য করে। কে ছিলেন এই হাজী মোহাম্মদ ডোলি? হাজী মোহাম্মদ ডোলি ১৮৯৫ সালে লন্ডনে আসেন। তার দুই সন্তানসহ তিনি আলবার্ট স্ট্রিটে বসবাস করতেন।

হাজী একজন দক্ষ হাফেজ হওয়াতে লন্ডনের মুসলিম বাসিন্দারা তাদের সন্তানদেরকে কুরআন শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করেন। তিনি অনুরোধে রাজি হন। তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য নিজের ড্রয়িং রুমকে মসজিদ বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।

তার এই ঘরের মধ্যে মসজিদ বিষয়টা অনেককেই আকর্ষণ কারে। এই মসজিদে নিয়মিতভাবে নামাজ পড়ানো হত এবং আজান দেওয়া হত। তাছাড়াও ঈদের সময় অনেক মুসলিমই বাহারি রঙের পাঞ্জাবি পরে তার ঘরে প্রবেশ করতো। নিজের ঘরে নামাজ পড়ানোর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন এলাকায় জানাজার নামাজও পড়াতেন।

তিনি ধর্মীয় উপায়ে নির্দেশনা দিতেন এবং শ্বেতাঙ্গদেরকে ইসলাম ধর্ম বেছে নেওয়ার আহ্বান করতেন। এই মসজিদ ছিল মুসলিমদের একত্র হওয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ জায়গা। এটি এমন জায়গা ছিল যেখানে সকল মুসলিমই এক হয়ে কাজ করতেন।

১৮৯৯ সালের দিকে ডোলি স্বপরিবারে ১৮৯ ইউস্টোন রোডে (বর্তমানে ওয়েলকাম কালেকশান) চলে আসেন। এখানেও তিনি তার ঘরকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করতেন।

ধারণা করা হয়, তার পুত্রসহ লিভারপুলের সকল মুসলিমদের জন্যই তিনি তাদের কাছাকাছি ইউস্টোন রোডে চলে আসেন।

সূত্র : ওয়ার্ল্ড বুলেটিন.নেট

আরও পড়ুন : বাংলাদেশে রাসুল সা. সময়ে নির্মিত মসজিদ (ভিডিও)


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ