আওয়ার ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালতের রায় অমান্য করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাদ দোয়া সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) জাতীয় সংসদের২১তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে উচ্ছৃঙ্খলতাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘উচ্ছৃঙ্খলা কখনও বরদাশত করা যায় না। ভাঙচুরকারীরা ভিসির বাড়ির ক্যামেরার চিপস নিয়ে গেলেও আশপাশে থাকা ক্যামেরা দেখে তাদের একটা একটা করে খুঁজে বের করা হচ্ছে। যারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আক্রমণ করেছে, তাদের তো ছাড়া হবে না। তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তদন্ত চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদন্ত করা হচ্ছে। অনেকে স্বীকারও করছে। যত আন্দোলনই হোক না কেন, এদের ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, কোটা নিয়ে আন্দোলন। এটা কী আন্দোলন নাকি। ঠিক তারা যে কী চায়, বারবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, সেটা কিন্তু সঠিকভাবে বলতে পারে না। আজকে আন্দোলন তারা করছে খুব ভালো কথা। কিন্তু ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করা, সবকিছু লুটপাট করা। এটা কি কোনো শিক্ষার্থীর কাজ? এটা কি কোনো শিক্ষার্থী করতে পারে? কথায় কথায় বলে ক্লাস করবে না। ক্লাসে তালা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত কারা হবে?
শেখ হাসিনা বলেন, তারা হলের গেট ভেঙে ফেলে দেবে। মধ্যরাতে হল থেকে ছাত্রীরা বেরিয়ে যাবে। আমার টেনশনে আমি বাঁচি না। আমি পুলিশকে, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বলেছি এই মেয়েদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়। ভোর ছয়টা পর্যন্ত জেগে থেকে যার যার হলে পৌঁছে যাওয়ার পর আমি ঘুমাতে গিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, বলেছি, কোটা সংস্কার আমরা করবো। আমি তো বলেছি টোটাল কোটা বাদ দিতে। আমরা তো কেবিনেট সেক্রেটারিকে দিয়ে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। তারা সেটা দেখছে। তাহলে এদের অসুবিধাটা কোথায়?
এর আগে, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাধ্যতামূলক রাখার বিষয়টি নিয়ে আদালতের আদেশ বহাল থাকায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আরও পড়ুন : দ্রুত বিয়ে করতে যে আমলটি করবেন