আওয়ার ইসলাম : মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (১১ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এ পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন করেন মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী। তাকে আইনগত সহযোগিতা করেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ ও রওশন আরা সিকদার ডেইজি।
শুনানি শেষে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই সঙ্গে গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
গত ১ জুলাই ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে খালেদা ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক জাফর আলী।
মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এতো শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।
‘খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যেহেতু ওই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যা দণ্ডবিধি ৫০০ ধারার অপরাধ’।
আরও পড়ুন : খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ৬ দিন পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা