বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ ।। ১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২১ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘গোপালগঞ্জের ঘটনার দায় সরকার ও প্রশাসনকে নিতে হবে’ ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান রোধে তাদের মূলোৎপাটন প্রয়োজন: হেফাজত ‘মুফতি আবরারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা উস্কানি ও ষড়যন্ত্রের অংশ’ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে লংমার্চ টু গোপালগঞ্জ: ইনকিলাব মঞ্চ জুলাই শহীদদের স্মরণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকমেলার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সহিংসতা, নিহত ৪ জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কাল গোপালগঞ্জের ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রেজওয়ানা হাসান গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় হামলা, সারা দেশে যুবশক্তির ‘বাংলা ব্লকেড’

বাংলাদেশে রাসুল সা. সময়ে নির্মিত মসজিদ (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: বাংলাদেশে ইসলামের আগমন ঘটে ৬২০ খ্রিষ্টাব্দে। লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামের মজেদের আড়া নামক জঙ্গলে ১৯৮৭ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল প্রাচীন একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষ।

সম্প্রতি বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল-জাজিরা  একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

লালমনিরহাটে মসজিদটির যে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে- এতে কালেমা তায়্যিবা ও ৬৯ হিজরি লেখা রয়েছে।

ধারণা করা হয়, মহানবি হজরত মুহাম্মদ সা. জন্মগ্রহণের ৫০ বছর পরেই বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব হয়।

ইসলামিক লেখক মতিউর রহমান বসনীয়া রচিত ‘রংপুরে দীনী দাওয়াত’ বইয়ে এ মসজিদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

রংপুরে দীনি দাওয়াত বইয়ে বলা হয়েছে, লালমনিরহাট জেলার এ প্রাচীন মসজিদ ও এর শিলালিপি দেখে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি যে, বখতিয়ার খলজীর বাংলা বিজয়ের (১২০৪ খ্রি.) ৬০০ বছর আগেই বাংলা অঞ্চলে সাহাবি রা. দ্বারা ইসলামের আবির্ভাব হয়েছিল।

রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, রাসূলের সা. মামা বিবি আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস রা. ৬২০ থেকে ৬২৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন (পৃ. ১২৬)।

অনুমান করা হয়, ৬৯০ খ্রিস্টাব্দের মসজিদটি আবু ওয়াক্কাস রা. নির্মাণ করেন। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ও প্রাচীন এই মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১০ ফুট। মসজিদের ভেতরের পুরুত্ব সাড়ে ৪ ফুট।

মসজিদে চার কোণে অষ্টকোণবিশিষ্ট স্তম্ভ রয়েছে। মসজিদের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া যায় গম্বুজ ও মিনারের চূড়া (রংপুর জেলার ইতিহাস, পৃ. ১৬৪)।

আল-জাজিজার প্রচারিত ভিডিওটি নিচে দেয়া হল -


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ