বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


দাওরায়ে হাদিসে খুলনার সেরা তিন প্রতিষ্ঠান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুজাহিদুল ইসলাম: আল হাইআতুল উলয়ার কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য খুলনা জেলার চৌদ্দটি (পুরুষ) মাদরাসা থেকে ২০৯ জন ছাত্র নিবন্ধিত হয়েছিলেন।

নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের শতকরা পাসের হার, মোট পরিক্ষার্থীর মধ্যে মুমতাজ, জায়্যিদ জিদ্দান, জায়্যিদ ও মাকবুল প্রাপ্তির হার-এই পাঁচটি সূচক মূল্যায়ন করে ফলাফলে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে।

এতে দেখা যায়, সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুখ্যাতি, বৃহৎ অবকাঠামো ও তুলনামূলক সেরা শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেছনে ফেলে তুলনামূলক ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো ভাল ফলাফল করেছে।

খুলনার মাদরাসা উমর বিন খাত্তাব রা. মোহাম্মাদনগর হতে ১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়; দুই জন মুমতাজ, পাচঁ জন জায়িদ্য জিদ্দান, একজন জায়্যিদ ও একজন রাসিব হয়ে ২২৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক সূখ্যাতি, বৃহৎ অবকাঠামো ও তুলনামূলক সেরা শিক্ষকদের মিলনমেলা খুলনা দারুল উলুম হতে বায়ান্ন জন পরীক্ষায় অংশ নেয়; পাচঁ জন মুমতাজ, বারো জন জায়িদ্য জিদ্দান, বাইশ জন জায়্যিদ ও দুই জন রাসিব হয়ে ২১৮ দশমিক সাত পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে এবং সংখ্যার বিবেচনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মুমতাজ, জায়্যিদ জিদ্দান, জায়্যিদ ও মাকবুল তাদের ঝুলিতেই রয়েছে।

ইমদাদুল উলুম রশিদিয়া নৈশ মাদরাসা ও সাজিয়াড়া মাদরাসা ২১০ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

এছাড়াও ১৮৩ দশমিক ১ পয়েন্ট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে লোহারগেট মাদরাসা, ১৭০ দশমিক ৮২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে মাদানীনগর মাদরাসা; ১৫৬ দশমিক ১২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে গোয়ালখালী মাদরাসা।

১৪০ দশমিক ৬ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে মারকাযুল উলুম মাদরাসা, ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম চাকুন্দিয়া মাদরাসা, ৮১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে নবম দারুল মোকাররম মাদরাসা, ৬৫ দশমিক ৩ পয়েন্ট পেয়ে দশম হয়েছে সেনহটি মাদরাসা।

১১ পয়েন্ট নিয়ে সবচে বাজে ফলাফলের করেছে খুলনা খালিশপুরের আশরাফুল উলুম বয়স্ক মাদরাসা।দশ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র একজন পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়েছে।

প্রথম স্থানে থাকা মোহাম্মাদ নগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুল হাইয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, প্রাইমারি লেভেল হতে ছাত্রদের গড়ে ওঠানোর মাধ্যমেই ভালো ফলাফল সম্ভব হয়েছে।

তাছাড়া আমাদরে শিক্ষকরা সকলেই আবাসিক থাকেন; কেউ অন্য ব্যস্ততার মধ্যে
নেই। সকলেই সার্বক্ষনিক ছাত্রদের পাশে থেকে নেগরানী করেন।

বলা যায়,শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এটা সম্ভব হয়েছে।

এ বিষয়ে খুলনা দারুল উলুমের মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মুশতাক ফলাফল বিপর্যয় সম্পর্কে বলেন, আমরা এ জন্য বিব্রত; ইতোমধ্যে আমরা কমিটি করেছি, ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করে এর প্রতিবিধান করা হবে।

হাইআতুল উলয়ার পরীক্ষা : কোন মাদরাসায় কয়টি মেধাস্থান?

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ