রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার দুপুরে শাহবাগে জড়ো হওয়ার ঘোষণা দেয় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। এ ঘোষণার পরপরই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। ওইদিন আন্দোলনকারীদের কাউকে দেখলেই ধাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগদের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করেছে এবং মারধর করেছে।
ওইদিন শাহবাগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হয় মুফতি মুহাম্মদ হুজাইফা। তিনি কামরাঙ্গীরচরের জামিয়া মাহমুদিয়া মাদরাসার শিক্ষক। কোটা আন্দোলনের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই।
তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকেই কামরাঙ্গীরচরে নিজের মাদরাসায় ফিরছিলেন হুযাইফা। এসময় শাহবাগে ছাত্রলীগদের হামলার শিকার হন তরুণ এই আলেম। শারিরীকভাবে নির্যাতন
শাহবাগে মুফতি হুজাইফাসহ ছয়জনকে ধরে মারধর করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. আল জুবায়ের ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের স্কুলছাত্রবিষয়ক উপসম্পাদক সৈয়দ আরাফাত।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুফতি হুজাইফাকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি চিৎকার করে মারধরকারীদের বলছেন- আমি কিছুই করিনি, আমি কিছুই করিনি, আপনারা তো আমার কথা শুনবেন। তবে হামলাকারীরা তার কোনো কথাই শোনেনি।
নির্যাতনের শিকার মুফতি হুজাইফা বর্তমানে তার কর্মস্থল মাদরাসায় মাহমুদিয়াতে অবস্থান করছেন। গতকাল সন্ধায় যুব মজলিস, ছাত্র জমিয়ত ও খেলাফত আন্দোলনের নেতাকর্মীরা তাকে দেখতে কামরাঙ্গীরচরে যান ।
এসময় তারা মুফতি হুজাইফার কাছ থেকে হামলার বিবরণ শুনেন ও তার শারীরিক অবস্থার খোজ-খবর নেন এবং ন্যাক্কারজনক এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তারা।
আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম মুফতি হুযাইফার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি বর্তমানে অনেক অসুস্থ। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছি না। কথা বলতেও অনেক কষ্ট হচ্ছে আমার। অবিলম্বে হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন : ঢাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা