আওয়ার ইসলাম : রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে বাংলাদেশে এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। আজ তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন।
তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সব রকম সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। ১০ লাখেরও বেশি শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন তারা।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সংকট নিরসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানো হবে সংকল্প করেছেন দুই কিম-গুতেরেস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন। তিনি দীর্ঘকাল ধরে, সেই ১৯৭৭ সাল থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে চলে আসতে থাকার বিষয়েও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কেবল মানবিক কারণে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করেছে, কেননা এ দেশের জনগণেরও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ভারতে শরণার্থী হিসেবে অনুরূপ আশ্রয় গ্রহণের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সহমর্মিতা জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন, জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি বজায় রাখবে এবং বাংলাদেশর প্রতি সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমার আসলে কী করতে চায় সে বিষয়টি অনুধাবনের জন্য তিনি মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস এ সময় রোহিঙ্গাদের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে সার্বিক সহযোগিতার মনভাব নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ব ব্যাংকের পদক্ষেপকে যুগান্তকারীেউদ্যোগ বলে উল্লেখ করেছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং রোহিঙ্গা সমস্যাসহ সবরকমের মানবিক বিষয়বলী একযোগেই বাস্তবায়িত হবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহিতা। তাই বাংলাদেশের সব সংকট মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার ব্যাপারে বাংলাদেশ আস্থা রাখতে পারে।
এসময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকা এবং শাান্তিরক্ষী প্রেরণে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
আসানসোলের ইমামরা জাগছেন বিশ্ব জুড়ে
এসএস