মাহমুদুল হাসান
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পারিবারিক জের ধরে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের পাওন জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোঃ জাকির হোসেন (৩৫) কে মারধর করায় ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদশী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ জুন) ভোরে মাওলানা মোঃ জাকির হোসেন তার নিজ বাড়ি কাগজী গ্রাম হতে বাই সাইকেল যোগে পাওনে জামে মসজিদ আযান দিতে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় উৎপেতে থাকা মুখোশধারীরা তাকে রাস্তায় আটক করে মারধর শুরু করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এ ঘটনায় মাওলানা জাকির হোসেন চিৎকার করলে গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে।
এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পরলে কাগজী গ্রাম, দেওঘর, সদয় নগর, পাওনসহ বিভিন্ন এলাকার শত শত লোক মাইকিংয়ের মাধ্যমে একত্রিত হয়ে , লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাগজী গ্রামের দেওবন্দী ওমালায়ে কেরাম ও তাবলীগ জামাতের সাথীদের বাড়িতে তাণ্ডব চালায়।
এই সময়ে হামলাকারীরা একটি মসজিদ ও গ্রামের প্রায় ৩৫-৪০ বাড়িতে ভাংচুর এবং দুটি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগিসহ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে ক্ষত্রিগ্রস্তরা।
পরে দেওবন্দী ওলামায়ে কেরাম ও তাবলীগের অনুসারীরা একত্রিত হয়ে থানায় মামলা করার জন্য প্রস্ততি নিয়ে থানায় গেলে মামলা না নেয়ার অভিযোগ উঠে। এ ব্যপারে থানা অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মোল্লার সাথে কথা বললে তিনি মামলা না নেয়ার বিষয়টি একটি রটানো কথা বলে দাবি করেন।
এদিকে, দেওবন্দী ওলামায়ে কেরাম তাদের অনুসারী তাবলীগীদের উপর বেদাতিতের হামলার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা ইমাম পরিষদের পক্ষ্য থেকে কুলিয়ারচর ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা সফিউদ্দিনের নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের ওলামা ও জনসাধারণকে নিয়ে ২৭ জুন (বুধবার) কুলিয়ারচর বাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অষ্টগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম মোল্লার প্রত্যাহারের দাবি করেন।
আরও পড়ুন : দাওয়াত ও তাবলিগকে কীভাবে দেখেন আরব আলেমগণ!