আওয়ার ইসলাম: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪৬.৫ শতাংশ কেন্দ্রে ১৫৯টি নির্বাচনী অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিউজি) পর্যবেক্ষকরা।
এসব অনিয়মের বেশিরভাগই নির্বাচনের দিন দুপুরের পর সংঘটিত হয়। গুরুত্বপূর্ণ অনিয়মের মধ্যে রয়েছে, জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারা, ভোট কেন্দ্রের ৪০০ গজ ব্যাসার্ধের ভিতরে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো এবং ভোট কেন্দ্রের ভিতরে অননুমোদিত ব্যক্তির অবস্থান।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিষয়ে প্রাথমিক বিবৃতি জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় ইডব্লিউজির কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ইডব্লিউজি’র পরিচালক ড. মো আব্দুল আলীম বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সর্বমোট ৪২৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ইডব্লিউজি পুরো ৫৭টি ওয়ার্ডেরই ১২৯টি (৩০ শতাংশ) ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছে।
ইডব্লিউজির এই ব্যাপক ভিত্তিক পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয় সেগুলো হলো— ভোট কেন্দ্র খোলার সময়কাল পর্যবেক্ষণ, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম, ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা ও গণনা এবং ভোটকেন্দ্রের বাইরে সার্বিক পরিস্থিতি।
ভোটগ্রহণ শুরুর সময় ইডব্লিউজির নিয়োগকৃত পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বেশিরভাগ (৯৮ শতাংশ) ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রস্তুত ছিল এবং নির্ধারিত সময়েই ভোটগ্রহণের জন্য ভোটকেন্দ্র উন্মুক্ত করা হয়। ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ব্যালট বাক্সগুলো যে খালি ছিল সেটা প্রমাণের জন্য পর্যবেক্ষণকৃত সকল ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ও পর্যবেক্ষকদের সামনে ব্যালট বাক্স খোলা হয়েছিল।
ভোটগ্রহণের সময়ে ইডব্লিউজির পর্যবেক্ষকরা ৯৬.৯ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট এবং ৮১.৪ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর এজেন্টদের দেখতে পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।
খুলনা-গাজীপুর সিটি নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
-আরআর