শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ ।। ২১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫


শাসক নয়, জনগণের সেবক হওয়ার চেষ্টা করেছি: এরদোগান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শাসক নয়, সবসময় জনগণের সেবক হওয়ার চেষ্টা করেছি। তুরস্কে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এমনটাই বললেন রজব তাইয়েব এরদোগান।

তিনি আরও বলেন, আমার দেশের জনগণ এ ব্যাপারে অনেক সজাগ। এ বিজয় আট কোটি তুর্কি নাগরিকের বিজয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার সকালে রাজধানী আঙ্কারায় জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির প্রধান কার্যালয়ে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রায় ৯০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে তুরস্ক দুনিয়াকে গণতন্ত্রের শিক্ষা দিয়েছে। এ নির্বাচনে তুরস্কের জনগণ, এ অঞ্চল এবং দুনিয়ার সব নিপীড়িত মানুষের বিজয় অর্জিত হয়েছে।

গতকাল তুরস্কে অনুষ্ঠিত হয় সংসদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট। এতে ৫৩ দশমিক ৭০ শতাংশ ভোট পেয়েছে এরদোয়ানের জোট। অন্যদিকে পিপলস অ্যালায়েন্সের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররেম ইনজের দল সিএইচপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স পেয়েছে ৩৪ দশমিক ০৪ শতাংশ ভোট।

পার্লামেন্ট নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে একে পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট। ৬০০ আসনের পার্লামেন্টে এরদোয়ানের দল একেপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৯৩ জন এমপি। জোট শরিক এমএইচপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৫০ জন। সিএইচপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪৬ জন এমপি। তাদের জোট শরিক ইয়ি পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৪৪ জন।

এরদোগানের এ ঐতিহাসিক বিজয়ে দেশটির সর্বত্র এখন বিজয় উৎসব চলছে। বিভিন্ন দেশের নেতাগণ শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাচ্ছেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ, তার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দার্ন সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা আকিঞ্চি, বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসোভ প্রমুখ অভিনন্দন জানিয়েছেন।

২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১১ বছর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এরদোয়ান। ২০১৪ সালেই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন। তার প্রধান সমর্থক হচ্ছেন রক্ষণশীল ও ধার্মিক তুর্কিরা। তিনি তুরস্কের এতকাল ধরে চলে আসা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রব্যবস্থায় ইসলামী মূল্যবোধকে শক্তিশালী করেছেন।

এ নির্বাচন ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলো তার প্রকাশ্য বিরোধী অবস্থানে থাকলেও এবং তাকে বিজয়ী না করতে আপ্রাণ চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। তুর্কী জনতা সব বাধা উপ্রে তাকে ফের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। তার প্রতি অযুত ভালোবাসা জয়ী হয়েছে।

এরদোগান! ফাতিহের কনস্টান্টিনোপল ভালো থাকুক আপনার হাতে

-আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ