রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম
তুরস্কের পার্লামেন্ট নির্বাচন চলছে। একই দিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ভোট দেবেন ভোটাররা। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টারি ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একযোগে ভোটগ্রহণ চলছে।
তুরস্কের স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। মোট আটটি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এ নির্বাচনে।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছয়জন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ও কামাল আতাতুর্কের দল সিএইচপির প্রার্থী মুহাররেম ইনজের মধ্যে।
ভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত প্রেসিডেন্টের জন্য বেশ কিছু নতুন ক্ষমতা বলবৎ হবে। এ নির্বাচনে এরদোগানের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। পুনর্বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যে ক্ষমতা পাবেন এরদোগান-
১. মন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্টসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরাসরি নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা।
২. দেশের আইনি ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা ।
৩. জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করতে পারবেন তিনি।
নির্বাচনে ছয়জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রয়েছেন। কেউ যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পান, তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন। তবে কেউই যদি ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারেন, ৮ জুলাই দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এরদোগান ও তার দল আবার নির্বাচিত হলে তুরস্কে নতুন সিস্টেম পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে। দেশে ইসলামিকায়ন অভিযান জোরদার হবে। এরদোগান চান, তার রাজনৈতিক কর্মসূচি সঠিক কিনা, তা জনগণ চূড়ান্তভাবে নিরূপণ করুক। অবশ্য জনগণ এপ্রিল ২০১৭ সালে রেফারেন্ডামের মাধ্যমে তার প্রতি সমর্থন দিয়েছিলেন।
এরদোগান ভিশন ২০২৩-এর রূপরেখা দিয়েছেন। তিনি বিশ্বের সেরা ১০টি আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ দেশের মধ্যে স্থান করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই প্রস্তাবে যোগাযোগ, কৃষি, জ্বালানি ও স্বাস্থ্য খাতে ইতিমধ্যে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। আর মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিশ্র“ত উন্নয়ন কর্মসূচি শেষ করতে চান। বিরোধী দল এরূপ বিস্তারিত কোনো উন্নয়ন কর্মসূচি দিতে পারেনি।
আরও পড়ুন : তুরস্কে নির্বাচন চলছে, জনমত জরিপে এগিয়ে এরদোগান
সূত্র : দ্যা গার্ডিয়ান, ডেইলি সাবাহ, আন্দালু /আরএম