অাওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে নেতাকর্মীদের নির্বাচনী বার্তা দিতে পারেন।
দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দলের সর্ববৃহৎ ফোরামের সভা ডাকা হয়েছে। শনিবার আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এদিনে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী বার্তা দেবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের বর্ধিত সভায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দলের ইস্পাত-কঠিন ঐক্য প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার সতর্কবাণী দেবেন তিনি।
সভায় দলীয় সভাপতির কাছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এমপিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, এমপি ও পদধারী নেতাদের বিরুদ্ধে নিজ বলয় তৈরির অভিযোগ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি, সম্পদের পাহাড় গড়া, নিজ দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি এবং কমিটি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হবে।
সার্বিকভাবে ১০টি ইস্যু নিয়ে সরগরম থাকবে ক্ষমতাসীন দলের বিশেষ এ বর্ধিত সভা। বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, জাতীয় কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদ এবং সারা দেশের জেলা-মহানগর, উপজেলা, পৌরসভার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেবেন।
এতে দলের এমপি থেকে শুরু করে পৌরসভা চেয়ারম্যান পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। এ সভায় সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার নেতার আগমন ঘটবে। এতে যোগ দিতে সংশ্লিষ্টদের ইতিমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলের দফতর সেল থেকে ফোনও করা হয়েছে।
বর্ধিত সভা সফল করতে সকালে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে কো-অর্ডিনেশন সভা হয়েছে। এতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়।
আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, এতে জনভোগান্তি এড়াতে আগত নেতাদের গণভবনে রেখেই দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্বোধন করবেন সভাপতি।
ভিডিও কনফারেন্সে বড় বড় প্রজেক্টরের মাধ্যমে গণভবনে জড়ো হওয়া নেতাদের তা দেখার ব্যবস্থা করা হবে। সংক্ষিপ্ত সময়ের সভা হলেও এতে দলের সভাপতির উদ্বোধনী ভাষণের পর তৃণমূলের নেতারা বক্তব্য দেয়ার সুযোগ পাবেন।
বর্ধিত সভা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, দীর্ঘ ৬৯ বছরের পথ-পরিক্রমায় আওয়ামী লীগের হাত ধরেই এ দেশের সব কটি অর্জন।
দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় উদ্বোধন করতে চান। পাশাপাশি আগামী নির্বাচন নিয়েও তাদের বিভিন্ন বার্তা দিতে চান ও মতামত জানতে চান। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই এ বর্ধিত সভার আয়োজন।